admission

ভর্তি হবেন? বাড়ি যাচ্ছেন নেতারা

অশিক্ষক কর্মী টেবিলে বসা সহকর্মীকে বলছিলেন, “আরে মশাই কী দিনকাল পড়েছে! আমার পাড়ার কয়েকটা ছেলে আমাকেই জিজ্ঞাসা করল, কলেজে ভর্তির কেউ আছে কিনা। থাকলে নাকি ওরা করে দেবে।’’

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৯:২০
Share:

বিবেকানন্দ কলেজে চলছে ভেরিফিকেশন। আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র।

এ যেন কলেজে ভর্তির ‘হোম ডেলিভারি।’

Advertisement

এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে খোদ জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র (এসি) কলেজেরই এক অশিক্ষক কর্মীর। বুধবার কলেজে দাঁড়িয়েই সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন তিনি। আগের দিনের মতো বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ মেঘলা। তৃতীয় কাউন্সিলিংয়ের টাকা জমা করা এবং আবেদনকারীদের নথিপত্র পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে এক অশিক্ষক কর্মী টেবিলে বসা সহকর্মীকে বলছিলেন, “আরে মশাই কী দিনকাল পড়েছে! আমার পাড়ার কয়েকটা ছেলে আমাকেই জিজ্ঞাসা করল, কলেজে ভর্তির কেউ আছে কিনা। থাকলে নাকি ওরা করে দেবে।’’

কী ব্যাপার, জিজ্ঞাসা করতেই মুখে কুলুপ। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য কলেজের দু’নম্বর গেটের মোটরবাইক স্ট্যান্ডের কাছে ফের গিয়ে তাঁকে ধরলে অনুরোধ করলেন, ‘‘প্লিজ, নাম বলবেন না।’’ তার পর শোনালেন তাঁর অভিজ্ঞতা। জানালেন, কলেজ লাগোয়া পাড়া তাঁদের। তাঁর পড়শি এক ছাত্রী মেধা তালিকায় অনেক নীচের দিকে রয়েছে। ইতিহাসে অর্নাস নিয়ে পড়তে চায়। মঙ্গলবার তাদের বাড়িতে এসে একদল ছেলে যোগাযোগ করে। অভিভাবকদের ওই ছেলেরা জানিয়েছে, অর্নাস চাইলে ব্যবস্থা করে দেবে। যোগাযোগের কোনও ফোন নম্বর দেওয়া হয়নি। কলেজের উল্টো দিকের একটি দোকানের সামনে আসতে বলা হয়েছে। ওই কর্মীর কথায়, “আমি তখন বাড়ি থেকে বার হচ্ছি। ওই দলে আমার পাড়ার একটি ছেলেও ছিল। আমাকে দেখে জানতে চায়, আমার বাড়িতে ভর্তির কেউ আছে নাকি।”

Advertisement

কলেজের উল্টো দিকের দোকানের সামনে অবশ্য এ দিন নজরদারি চালিয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এক ছাত্র নেতাকে ধমক দিয়ে সরিয়েও দেওয়া হয়। টিএমসিপির অন্দরের খবর, দলের নেতাদের একাংশ আবেদনকারীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করছেন। বাড়িতে বসেই কথা হচ্ছে বলে দাবি। যদিও কলেজের অধ্যক্ষ মহম্মদ আব্দুর রজ্জাক বলেন, “আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি। কলেজের কাউন্সিলিং যথেষ্ট ভাল ভাবে চলছে।”

অন্য দিকে, কোচবিহারের বাণেশ্বর সারথিবালা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তির ‘কোটা’ হিসেবে ২০টি আসন ছাড়তে না চাওয়ায় এবং স্বচ্ছভাবে মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া কলেজের জিএস উত্তম ঘোষ বহিরাগতদের হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement