ইংরেজি চাই? ৩০ হাজার
Admission Syndicate

ক্যামেরা দেখেই মুখ ঘুরিয়ে ধাঁ

ভিতরে মোটরবাইক নিয়ে বহিরাগত এবং মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ছাত্র সংসদের সদস্যদের ‘সাহায্য’। স্থান: জলপাইগুড়ির এসি কলেজ

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ১০:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

কলেজের বাইরে পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স। ভিতরে মোটরবাইক নিয়ে বহিরাগত এবং মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ছাত্র সংসদের সদস্যদের ‘সাহায্য’। জলপাইগুড়ির এসি কলেজ রইল এসি কলেজেই। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি জলপাইগুড়িতে। তাতে অবশ্য ছাত্রনেতাদের উপস্থিতিতে ব্যাঘাত ঘটেনি। কেউ এসেছিলেন হাফপ্যান্ট পরে কেউ বা থ্রি কোয়ার্টার। তাঁদের দাবি, যে ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তি হতে আসছেন, তাঁদের সাহায্য করা হচ্ছে মাত্র।

Advertisement

কলেজে ভর্তির তৃতীয় কাউন্সিলিংয়ের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পুরোটাই ই-কাউন্সিলিংয়ে হচ্ছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি। কলেজে এসে শুধুমাত্র নথি যাচাই করিয়ে ভর্তির টাকা দিলেই কাজ শেষ। কিন্তু কলেজের গেট দিয়ে ঢোকার মুখেই দাঁড়িয়ে ছাত্র নেতারা।

সকলেই টিএমসিপির সদস্য। কেউ ভর্তি হতে এলেই এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এক নেতাকে বলতে শোনা গেল, “লিফলেটে আমাদের ফোন নম্বর রয়েছে। যে কোনও বিষয় হয়ে যাবে।” প্রাণীবিদ্যায় মেধা তালিকায় দেড়শোর মধ্যে নাম থাকলেও এক ছাত্র ভর্তি হতে পারেনি। তার থেকে নীচে থাকা অন্যরা ভর্তি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি। ছাত্রের দাবি, “দাদারা আমার নম্বর রেখে দিল। পরে ফোন করবে বলল।”

Advertisement

ভর্তি হতে যাঁরা আসছেন তাঁদের হাতে দু’ধরনের লিফলেট ধরানো হচ্ছে। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর আলাদা লিফলেট। দুটিতেই একাধিক নাম ও ফোন নম্বর। কলেজের ছাত্র সংসদের কোষাধ্যক্ষ অভ্রদীপ রায় ছিলেন কলেজেই। তিনি বললেন, “আমরা তো থাকতেই পারি। যাঁরা ভর্তি হতে এসেছেন, তাঁদের সাহায্য করছি। বহিরাগত কেউ নেই।” অভ্রদীপের কথা তখনও শেষ হয়নি। বাইক চেপে এলেন আর এক ছাত্র নেতা। এবং ক্যামেরা দেখেই বাইকের মুখ ঘুরিয়ে কলেজ ছাড়লেন।

এ দিন কলেজে এসেছিলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন। তিনি বলেন, “কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে সমস্যা বা অভিযোগ নেই। কেউ কোথায় ভর্তি প্রভাবিত করছে না।” তখন কলেজের সামনে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে টহল শুরু করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজের সামনের চায়ের দোকানগুলি। ভর্তি চলাকালীন এগুলি বন্ধ থাকবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশ বলছে, সামনের চায়ের দোকানে বহিরাগতরা জড়ো হয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে নানা লেনদেন চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষ বলেন, “বাইরে কী হচ্ছে বলতে পারব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement