কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল।
কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রশাসক কার্তিকচন্দ্র পাল তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। মেদিনীপুরের কলেজ ময়দানে অমিত শাহের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে কার্তিককে সরিয়ে কমল ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই কার্যালয়ে পা না রাখা ও নেতৃত্বদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই বিধায়ক তপন দেব সিংহ ও শহর সভাপতি কমল ঘোষের সঙ্গে কার্তিকের ঠান্ডা লড়াই চলছিল।
২০১৫ সালের নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসন কংগ্রেস পায়। ১টি করে আসন পায় বিজেপি ও সিপিএম। ২০১৬ সালের ২০ জুলাই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কার্তিকচন্দ্র পাল-সহ মোট ৯ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন চেয়ারম্যান অরুণ দে সরকারের বিরুদ্ধে। ২১ জুলাই কার্তিকের নেতৃত্বে কলকাতায় শহিদ দিবসের মঞ্চে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কাউন্সিলররা। প্রথমবারের জন্য তৃণমূলের দখলে আসা কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান হন কার্তিক। পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুরপ্রশাসক হিসেবে তাঁকেই নিযুক্ত করা হয়।
এ দিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে কার্তিককে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজের জবাব দেননি। তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘কার্তিকচন্দ্র পালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
এ দিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কমল জানান, কার্তিককে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে রেখে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে রাজ্য নেতৃত্ব কালিয়াগঞ্জে সাংগঠনিক শক্তি আরও মজবুত করতে আমাকে দায়িত্ব দেয়। সরকারি দফতরের সমস্ত পদে থাকলেও শুধুমাত্র সাংগঠনিক পদ থেকেই তাঁকে বিরত করা হয়েছে।’’
এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, ‘‘যে কেউ বিজেপিতে আসতে পারেন। তবে বিজেপিতে আসার ব্যাপারে কাউকে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। কার্তিক নিজেও পদের দাবি নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেননি।