ফাইল চিত্র।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী সেদিন টিলাবাড়ির কটেজে। সন্ধেয় চারবার লোডশেডিং! পরদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “বিদ্যুৎ দফতরে কাজ হয়, নাকি শুধু ইউনিয়নবাজি হয়?” শাস্তির মুখে পড়তে হয় একাধিক কর্তাকে। দু’বছর আগের সেই ঘটনা মনে রেখে এ বার কোনও ঝুঁকি নিতে চান না প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
জলপাইগুড়ি শহরে পূর্ত দফতরের পরিদর্শন কুঠির বিদ্যুৎ সংযোগের খোলনলচে বদলে যাচ্ছে। শহরের কিং সাহেবের ঘাট লাগোয়া পূর্ত দফতরের পরিদর্শন বাংলোয় আগামী সোমবার থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পরদিন জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভা রয়েছে। শনিবার গিয়ে দেখা গেল, বাংলো-মুখী বিদ্যুৎ তার বদলে ফেলার কাজ চলছে। বিদ্যুৎ দফতরের অবশ্য দাবি, ২০১৮ সালে নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী টিলাবাড়িতে থাকার সময় ‘লোডশেডিং’ হয়নি। হাই ভোল্টেজ তারে একটি পাখির দেহ আটকে লাইন ‘ট্রিপ’ হয়ে যায়।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বিমানে বাগডোগরা পৌঁছে হেলিকপ্টারে জলপাইগুড়ি পৌঁছবেন বলে খবর। পুলিশ লাইনের হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর নামার কথা। সেখান থেকে গাড়ি করে পূর্ত বাংলোয় পৌঁছবেন তিনি। মঙ্গলবার এবিপিসি মাঠে তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে থাকবেন তিনি। সেই শেষ করেই কোচবিহারের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেবেন বলে খবর। সভার মাঠের পাশে এসি কলেজের মাঠে আরও একটি হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে। সভামঞ্চ থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রী সেখান থেকে কপ্টারে কোচবিহারে যাবেন বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার জলপাইগুড়ি এসেছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জলপাইগুড়ি জেলার বিধায়ক। জেলা নেতাদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধিতে এমনিতেই প্রতি শনিবার সকলকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। এ দিন শনিবারও ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভা আগে দলের সব দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দেওয়াটাও জেলা নেতৃত্বের কাছে চ্যালেঞ্জ।