উত্তপ্ত অসম।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে অসম থেকে কেউ বা কারা সীমানা পেরিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় এলে, তাঁদের কোথায় আশ্রয় দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের ভাবনাচিন্তা শুরু হল। সূত্রের খবর, অসম সীমানা লাগোয়া বন্যাত্রাণ শিবিরগুলি তৈরি রাখার ব্যাপারেও প্রশাসনের অন্দরে ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই প্রতিবেশী রাজ্যের পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় আলিপুরদুয়ারের অসম সীমানায় নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সীমানা পরিদর্শন করেন।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হতেই গুয়াহাটি সহ অসমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার অসম সীমানা লাগোয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই সীমানা লাগোয়া বারবিশায় প্রচুর পণ্যবাহী লরি আটকে পড়েছে। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। আলিপুরদুয়ারের প্রচুর মানুষ বিবাহ সূত্রে কিংবা অন্য কারণে অসমে বসবাস করেন। সীমানার এপারে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
সূত্রের খবর, অসমের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনের কর্তাদের একাংশও। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাজ্যে অশান্তি এ ভাবেই চলতে থাকলে সেখান থেকে মানুষ জেলায় এলে তাঁদের কোথায় আশ্রয় দেওয়া হবে, তা নিয়েই চলছে নানা ভাবনা। যদিও জেলা প্রশাসনের কর্তারা বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে নারাজ। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘যেমন নির্দেশ আসবে, তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা বলেন, “প্রতিবেশী রাজ্য থেকে কেউ এলে অবশ্যই প্রশাসনের তরফে তাদের থাকা বা খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি দেখা হবে।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার বলেন, “অসম থেকে এ দিকে কারও আসার পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের কোথায় রাখা হবে সে বিষয়ে একাধিক ভাবনা ভাবা হচ্ছে। কেউ এখানে বঞ্চিত হবেন না।”