যেখানে প্রয়োজন ছিল সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না, যেখানে প্রয়োজন ছিল না সেখানে ভোটের দিন দেখা গিয়েছে বাহিনীর জওয়ানদের। বুধবার শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির কর্মিসভায় এমনই অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীরবাবুর অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই। এ দিন পাহাড় সহ রাজ্যের অন্য পুরভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। অধীরবাবু সে প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘এই ফলাফল সন্ত্রাসের কারণ। সাহস থাকলে তৃণমূল নেত্রী জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য গণভোট করে দেখতে পারেন।’’ নকশালবাড়িতে তাঁদের সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অধীরবাবুর। এ দিন মিরিকের কমিউনিটি হলে কংগ্রেসের কর্মিসভা ছিল। তবে কমিউনিটি হল এ দিন ভিড়ে উপচে পড়ে। কর্মী-সমর্থকরা কমিউনিটি হলের বাইরে দাঁড়িয়ে নেতাদের বক্তৃতা শোনেন।
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে জনসভা না করে কর্মিসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নকশালবাড়ির হাজার হাজার বাসিন্দারা সভায় আসেন। কর্মিসভা হলেও এ দিন জনসভার আকার নিয়েছিল আমাদের সভা।’’
গত মাসে নকশালবাড়িতে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি দক্ষিণ কোটিয়াজোতের এক আদিবাসী বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাওয়ার সারেন। ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ওই আদিবাসী দম্পতি তৃণমূলে যোগ দেন। তা নিয়ে চাপানউতোর চলে। গত সপ্তাহে সিপিএম মহামিছিল করে নকশালবাড়িতে। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। জেলা কংগ্রেস (সমতল) সভাপতি শঙ্করবাবুই ওই কেন্দ্রের বিধায়ক। ‘ঘর’ রক্ষা করতে তাই এ বার আসরে নামল কংগ্রেসও। অধীরবাবুর কথায়, ‘‘নকশালবাড়িতে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বীজ পোঁতার চেষ্টা করছে। তৃণমূলও রাজনীতি করছে। মানুষকে যাতে কেউ ভুল না বোঝাতে পারে, সে জন্য কংগ্রেস কর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন।’’ সভায় ছিলেন না কাউন্সিলর সুজয় ঘটক সহ তাঁর অনুগামীরা। সুজয়বাবু বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে।’’