জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভিড়। ছবি: সন্দীপ পাল
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্তদের অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষা করাতে নমুনা প্রয়োজনে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠাতে বললেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি সুশান্ত রায়। সোমবার তিনি এ কথা জানান। শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এক মাস চার দিনের একটি শিশু মারা যায় জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে। তার এবং আরও তিন জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। ‘ডেমো কিট’ও জোগাড়ও করা হয়েছিল পরীক্ষার। কিন্তু দু’দিন চেষ্টা করেও সে কিটে পরীক্ষা করাসম্ভব হয়নি।
ওএসডি সুশান্ত রায় এ দিন বলেন, ‘‘নমুনা যাতে সরাসরি কলকাতায় পাঠানো হয়, সে জন্য বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফে বিষয়টি দেখা হবে।’’ তবে ওই চারটি নমুনা কলকাতায় পাঠানো হয়েছে কি না, তা অবশ্য তিনি জানাতে পারেননি। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার জানান, নির্দেশ মতো তাঁরা এখন সরাসরি কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনেই অ্যাডানোভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাবেন। আগের চারটি নমুনা পাঠানো নিয়ে তিনিও অবশ্য কিছু জানাতে পারেননি।
এ দিন নতুন করে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কোনও শিশু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি হয়নি। আগের তিনটি শিশুই ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘আর কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি। নতুন করে কেউ ভর্তিও হয়নি।’’ তবে বহির্বিভাগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুদের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন অনেকে।
‘অ্যাকিউট রেসিপিরেটরি ইনফেকশন’ (এআরআই) আক্রান্ত আরও ১৫টি শিশুকে এ দিন জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশুদের বহির্বিভাগে এ দিনও ভিড় ছিল। এআরআই নিয়ে ২৯টি শিশু ভর্তি রয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটটি শিশুকে এই হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খান জানান, সাতটি শিশুর অক্সিজেন চলছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীনদের অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ না থাকায়, কারও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।