নদীতে চলছে তল্লাশি।নিজস্ব চিত্র
ঘড়িতে তখন দুপুর বারোটা। ফোন বেজে উঠল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে যা শুনলেন তাতে পিলে চমকে গিয়েছিল পুলিশকর্মীর। ফোনে বলা হয় দুপুর আড়াইটা নাগাদ বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেওয়া হবে জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতু। যে ফোন করেছিল সে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিল কলকাতা পুলিশে কর্মরত বলে। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সেতুর যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। সেতুর উপরে, নীচে নদীতে শুরু হয় তল্লাশি। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবারের ঘটনা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এই তিস্তা সেতুর গুরুত্ব অনেকটা। ফোন পেয়ে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেনি পুলিশ। সেতুর উপরে শুরু হয় তল্লাশি। নামানো হয় পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। তিস্তা নদীতে স্পিডবোট নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই, তা নিশ্চিত হয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ। পাশাপাশি কোথা থেকে ফোন এসেছিল তা খোঁজা শুরু হয়। এ দিনই ফোনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। বুধবার বিকেল পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃত যুবকের নাম মানব দাস। তাঁর বাড়ি ময়নাগুড়ির কামারপাড়াতে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও ইলওয়াড বলেন, ‘‘ভুয়ো ফোন ছিল। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’