বালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত অধরা

এক জন শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী বালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে এবং এলাকায় মদ ও জুয়া বন্ধের দাবিতে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০২:১১
Share:

এক জন শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী বালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে এবং এলাকায় মদ ও জুয়া বন্ধের দাবিতে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। মঙ্গলবার সংগঠনের জলপাইগুড়ি শাখার সদস্যরা সদস্যরা জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।

Advertisement

জলপাইগুড়ি শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির মুখপাত্র দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত এলাকার একজন পরিচিত দুষ্কৃতী। মদ খেবে নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ তার নামে আছে। ঘটনার তিন দিন কেটে যাওয়ার পরও সে এখনও ধরা পড়েনি। অবিলম্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।”

পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “অভিযুক্তের গতিবিধি নিয়ে খোঁজ চলছে। আমরা ওকে ধরে ফেলব।” শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ির ২ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্র কলোনি এলাকার বাসিন্দা পেশায় ড্রাইভার অভিযুক্ত তার প্রতিবেশী একজন প্রতিবন্ধী বালিকাকে ধর্ষণ করে। বিকেলে পুলিশকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ আসে। রাতে বালিকাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। শনিবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় মহিলারাও দোষীকে ধরার দাবিতে থানায় যান।

Advertisement

পুলিশ এবং মেয়েটির পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রবীন্দ্র কলোনির বাড়িতে মেয়েটি একাই ছিল। তার বাবা ভ্যান রিকশা চালান। তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন না। মা বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে। তিনিও বাড়িতে ছিলেন না। মেয়েটির দিদি এবং ভাই স্কুলে ছিল। অভিযুক্তের স্ত্রী তার দুই মেয়েকে নিয়ে হলদিবাড়ি থানার দেওয়ানগঞ্জে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে সে চকলেটের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে তার নিজের বাড়িতে ডেকে আনে এবং তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি ছুটে বাড়ির বাইরে এসে তার মাসতুতো বোনের দেখা পায়। তাকে সব কথা খুলে বলে। বিকেলে মেয়েটির মা কাজ থেকে ফিরে এসে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে।

জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি পাওয়া উচিত।” রবীন্দ্র কলোনির মহিলা সুমিত্রা দেবনাথ, কবিতা মণ্ডল বলেন, “আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ওই যুবক মদ খেয়ে এখানে প্রচুর গোলমাল করত।’’ অভিযুক্তের বাবা এবং স্ত্রী শুক্রবার বাড়িতে ছিলেন না। দুজনেই বিকেলে বাড়িতে ফিরে আসেন। স্ত্রী বলেন, “এরকম ঘটনা যে ও ঘটাবে, তা কখনও ভাবিনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement