অসহায়: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অসুস্থ বাচ্চা কোলে মা। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একের পর এক শিশুমৃত্যু ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছেই। আজ, সোমবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল মেডিক্যালে পরিদর্শনে আসবেন। তার মধ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কর্তৃপক্ষের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৬ জন শিশু মারা গিয়েছে। তবে তারা কেউ জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যায়নি। গত ছয় দিনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অন্তত ৩০টি শিশু জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য কারণে মারা গেল। শিশু বিভাগে রোগীর চাপও বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ২৯টি নতুন শিশু এ দিন ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ৭টি শিশু জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করা ৩টি শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এ দিন ভর্তি করানো হয়েছে।
হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি, ইসলামপুর এবং জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ৩ জন প্রসূতির সদ্যোজাত মারা গিয়েছে জন্মের সময় অত্যধিক ওজন কম থাকার জন্য। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, যে সমস্ত সদ্যোজাত মারা যাচ্ছে তাদের একটা বড় অংশ কম ওজনের জন্য মারা গিয়েছে। তার কারণ হিসাবে মায়েদের অপুষ্টির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করেন। খড়িবাড়ির মহিলার সদ্যোজাত শিশু এ দিন ভোরে মারা গিয়েছে। বাকি দু’জনের সদ্যোজাত শিশু মারা গিয়েছে শনিবার রাতে। এ ছাড়া কালিম্পং এবং বাগডোগরার বাসিন্দা অপর দুই প্রসূতির সদ্যোজাত শিশু ‘নিওনেটাল কার্ডিয়াক ফেলিওর’ এবং ‘হার্ট ফেলিওরে’ মারা গিয়েছে। ফালাকাটার বাসিন্দা ৩ বছরের শিশু শ্রাবন্তী ওরাওঁ মারা গিয়েছে শক এবং হাইপার টেনসিভ এনসেফ্যালোপ্যাথিতে। তবে তার জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল কি না তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক শিশু ভর্তি রয়েছে। শুধু জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালই নয়, ইসলামপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকেও অনেক শিশুকে রেফার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশু ভর্তি রয়েছে।