টোটোয় বিস্ফোরণ। ফাইল চিত্র।
ব্যাটারি থেকেই হয়েছিল বিস্ফোরণ। ইংরেজবাজার শহরে টোটো বিস্ফোরণ কান্ডে পুলিশি তদন্তেই সায় দিল ফরেন্সিকও। শুক্রবার টোটো বিস্ফোরণ কান্ডের প্রায় পাঁচ মাস পরে ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পায় মালদহ জেলা পুলিশ। তারপর পুলিশ জানিয়েছে, রিপোর্টে ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই টোটো, ই-রিকশা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যাত্রী মহলে।
এখনও আসেনি সুজাপুর বিস্ফোরণ কান্ডের ফরেন্সিক রিপোর্ট। গত ১৯ নভেম্বর সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু এবং আহত হন আরও ৭ জন। ঘটনার দু’দিন পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন রাজ্য ফরেন্সিক দল। সুজাপুরের বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। পুলিশের দাবি, যান্ত্রিক সমস্যা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। এমন অবস্থায় ফরেন্সিক দলের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন সুজাপুরবাসী।
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “টোটো বিস্ফোরণের ফরেন্সিক রিপোর্ট এসেছে। সেখানে ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি, সুজাপুর বিস্ফোরণের রিপোর্টও দ্রুত পেয়ে যাব।”
গত ১ জুলাই ইংরেজবাজার শহরের ঘোড়াপীরের ঘোষপাড়া এলাকায় পণ্যবোঝাই টোটো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় চালকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, টোটোতে ১২ ভল্টের চারটি ব্যাটারি থাকে। চালকের পেছনের যাত্রী আসনের নীচে থাকা ব্যাটারি থেকেই হয়েছিল বিস্ফোরণ। অত্যরিক্ত পণ্য নিয়ে দীর্ঘ সময় টোটোটি চলাচল করায় ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
ব্যাটারিতে বিস্ফোরণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় যাত্রী মহলে। মালদহ জেলা জুড়েই প্রায় ৫০ হাজারেও বেশি টোটো, ই-রিকশা চলাচল করে। এরপরেই টোটো, ই-রিকশার উপরে নজরদারির দাবিতে সরব হন যাত্রীরা। তাদের দাবি, লজঝড়ে টোটোও রাস্তায় চলছে। এমন কি, স্থানীয় কারখানায়ও টোটো তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।