প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গে দলের পরিস্থিতি নতুন করে পর্যালোচনা করে একাধিক ঘরোয়া বৈঠক করতে জেলা সফরে আসছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আসছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। ৪ থেকে ৮ জানুয়ারি অবধি দু’জনের উত্তরবঙ্গে থাকার কথা।
মূলত বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি, ভাঙনের আশঙ্কায় কী করণীয় তা নিয়ে বৈঠকগুলিতে আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। শিলিগুড়ি ছাড়া আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে দলীয় বৈঠক ও গঙ্গারামপুরে জনসভা করার কথা অভিষেকের।
সংগঠনে ভাঙন ঠেকাতে অভিষেকের পিকে-র সঙ্গে উত্তরবঙ্গ সফরের খবর প্রথম প্রকাশ হয় আনন্দবাজার পত্রিকায়। শিলিগুড়িতে দুটি বৈঠকের কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটি বৈঠক পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গেও হতে পারে। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘অভিষেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকেই জেলায় জেলায় সভা করবে বলে খবর। পুরোটাই দলের নিজস্ব বৈঠক।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম ধাক্কায় দলের নাগরাকাটার শুক্রা মুন্ডা, গাজলের দীপালি বিশ্বাসের মতো উত্তরবঙ্গের দুই বিধায়ক দল ছেড়েছেন। এরসঙ্গে যোগ করতে হবে কোচবিহারের মিহির গোস্বামীকেও। আর প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে দল ছেড়েছেন দশরথ তিরকে। আরও এক ডজনের বেশি নেতানেত্রী উত্তরবঙ্গে তৈরি রয়েছে বলে বিজেপির দাবি। খোদ শুভেন্দুর ৯ জানুয়ারি নাগাদ উত্তরবঙ্গ সফরে আসার কথা। তাঁরও শিলিগুড়ি ছাড়া জলপাইগুড়ি ও মালদহে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাতে দলের অন্দরে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন শাসক দলের নেতারা। এই অবস্থায় বছরের একেবারে শুরুতে অভিষেকের জেলা সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দলের কাছে। কয়েক মাস আগেও শিলিগুড়ি এসে অভিষেক এবং পিকে জেলার নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাবার্তা বলে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের শক্তঘাঁটি চা বলয়ে
গেরুয়া শিবির যাতে বেশি হাত বাড়াতে না পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।