ডেমকাঝোড়া বস্তির চা বাগানে সেই হাতির দল। নিজস্ব চিত্র।
এক যুবককে পিষে মারল হাতি। রবিবার বিকেলে মালবাজারের ডেমকাঝোরা বস্তিতে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম সুশীল উরাও(৩৪)। তেশিমলা তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেমকাঝোড়া বস্তিতেই বাড়ি তাঁর।
পুলিশ এবং বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই মাল ব্লকের নেপুছাপুর, কুমলাই এলাকায় দাপিয়ে বেরাচ্ছিল ১৮-২০টি হাতির একটি দল। দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলের দিকে হাতির দল কুমলাই নদীর ব্রিজ সংলগ্ন ডেমকাঝোড়া বস্তির এক চা বাগান ও বাঁশঝোপের মধ্যে ছিল। হাতি আসার খবর পেয়ে বস্তি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় বন দফতরের কাছে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হাতিদের তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু তার মধ্যেই বেশ কয়েক জন উৎসুক যুবক হাতির দলের কাছে চলে যান। আচমকাই একটি হাতি তাঁদের তাড়া করে। বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও হাতির সামনে পড়ে যান সুশীল। তখনই তাঁকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পিষে মারে হাতিটি।
শনিবার শেষ রাতে আপালচাঁদ বনাঞ্চল থেকে একদল বুনো হাতি চেল নদী পেরিয়ে হানা দেয় মাল ব্লকের তেশিমলা ও কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভোরের আলো ফুটতেই হাতির দল তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটি দল চলে যায় মাল নদী পেরিয়ে মাথাচুলকা গ্রামের দিকে। আর একটি দল ফিরে যায় আপালচাঁদ বনে। ১৮-২০ টি হাতির দল চলে আসে নেপুচাপুর, কুমলাই ও তেশিমলা গ্রামের দিকে। এদিক ওদিক দাপিয়ে বেড়িয়ে বেলা বাড়তেই এক চা বাগান সংলগ্ন বাঁশবনে আশ্রয় নেয় তারা। দিনের বেলা হাতির দল দেখতে ভিড় করেছিল বহু মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাল বন্যপ্রাণ স্কোয়ার্ডের কর্মীরা এবং মাল থানার পুলিশ। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।