প্রতীকী ছবি।
চা বাগান এলাকায় পাহাড়ি ঝোরায় স্নান করতে গেলে এক মূক ও বধির আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শুক্রবার দুপুরে খড়িবাড়ি থানা এলাকার একটি চা বাগানের ঘটনা। যদিও রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। এর মধ্যেই ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, কুড়ি বছরের ওই তরুণী বাগানের শ্রমিক পরিবারের মেয়ে। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। শুক্রবার দুপুরে খড়িবাড়ি থানা এলাকার ওই চা বাগানের মধ্যে পাহাড়ি ঝোরায় একাই স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে আচমকাই হাজির হয় কয়েকজন যুবক। নদীর ধারে তাঁকে ধর্ষণ করে ফেলে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মেয়েটির বাড়ি ফিরে ইশারায় বিষয়টি মাকে বোঝালে, তাঁর মা খড়িবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরে মেয়েটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনায় যে একাধিক লোক অভিযুক্ত জড়িত ছিল তা মেয়েটির ভাবভঙ্গি এবং বোঝানোর ধরণ থেকে পরিষ্কার। তাই পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে।
তবে মেয়েটির মায়ের দায়ের করা অভিযোগের সুনির্দিষ্ট ভাবে কারও নাম নেই বলে জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। যেহেতু মেয়েটি কথা বলতে পারেন না, তাই পরিচিত কেউ থাকলেও তাঁর পক্ষে নাম বলা অসম্ভব। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। দার্জিলিং পুলিশের ডিএসপি (গ্রামীণ) অচিন্ত্য গুপ্ত বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।’’ পুলিশ কী কৌশলে তদন্ত এগোচ্ছে তা নিয়ে এখনই অবশ্য কিছু বলতে চাননি পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, বাগানে এরমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে মেয়েটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে দাবি, শনিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয় তবে রিপোর্ট এখনও আসেনি। আপাতত মেয়েদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার চিকিৎসার উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।