প্রতীকী চিত্র।
স্বামী ধর্ষক। তার পরিচয়ে সন্তানদের বড় করতে চান না।
২০১৩-তে প্রতিবেশী কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করেন আলিপুরদুয়ারের অ্যালবার্ট টোপ্পো। তা জানাজানি হওয়ার পরে ছোট ছেলে ও সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে এক কাপড়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অ্যালবার্টের স্ত্রী। দিন মজুরি করে সংসার চালাতেন। এক দিন মজুরের সঙ্গে প্রেম হয়। তাঁকেই বিয়ে করেন সংসার পাতেন পাশের গ্রামে। স্থানীয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন প্রথম পক্ষের সন্তানদের।
কিন্তু সেখানে তিনি সন্তানদের নামের সঙ্গে বর্তমান স্বামীর পদবিই ব্যবহার করেছেন। বলেন, ‘‘অনেক কটূক্তি শুনেছি। আমি চাই না, ছেলেমেয়ের সঙ্গে তাদের বাবার এই কুকীর্তি জড়িয়ে থাক। তাই ওই পদবি থেকে ওদের মুক্তি দিয়েছি।’’ তাঁর বর্তমান স্বামী সবই জানেন। সম্প্রতি তাঁদেরও একটি পুত্র সন্তান হয়েছে। রবিবার বাড়ির উঠোনে বসে ওই বধূ জানান, ‘‘বর্তমান স্বামীকে বিয়ের আগে সব কথা বলি। তিনি আমার দুই সন্তানকে মেনে নেন। এখন আমি ঘর সামলাই। অনেক শান্তিতে রয়েছি।’’
মথুরা চা বাগানে খোঁজ মিলল অ্যালবার্টের মা ক্যারোলিনা টোপ্পোরও। চা বাগানের শ্রমিক তিনি। শনিবারে তাঁর ছেলের মৃতুদণ্ডের খবর অবশ্য তাঁকে কেউ জানায়নি। ক্যারোলিনা জানান, অ্যালবার্ট ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই ঘর ছাড়ে তাঁর বৌমা। সঙ্গে নিয়ে যায় দুই সন্তানকে। তিনি বলেন, ‘‘তবে ঘর থেকে কিছুই নিয়ে যায়নি। তাদের জামাকাপড় সবই রয়েছে। শুনেছি ও আবার একটা বিয়ে করেছে।” অ্যালবার্টের দাদা পার্থে টোপ্পো বলেন, ‘‘ভাই যা অপরাধ করেছে, তার যোগ্য শাস্তি পেয়েছে। কিছু বলার নেই।’’