Dinhata

হাওয়া ‘খোলেন’ নিখিলের গাড়ির চালক, অভিযোগ

গত ২০ মার্চ দিনহাটা আদালতে একটি পুরনো রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে আসেন নিখিলরঞ্জন।

Advertisement

সুমন মণ্ডল 

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৩
Share:
বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে গাড়ির চাকার হাওয়া ছাড়ছে এক যুবক।

বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে গাড়ির চাকার হাওয়া ছাড়ছে এক যুবক। ছবি - সুমন মণ্ডল।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র উপরে হামলার অভিযোগ নয়া মোড় নিল। গত ২০ মার্চ একটি মামলার হাজিরা দিতে দিনহাটা আদালতে যান নিখিল। সেই সময়ে তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও, রবিবার সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োতে (আনন্দবাজার পত্রিকা যার সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা গিয়েছে, বিধায়কের নিজের গাড়ির চালকই চাকার হাওয়া খুলে দিচ্ছেন। এই ভিডিয়ো নিয়ে আসরে নেমেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘আমি একটা ভিডিয়ো দেখেছি। সেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে,একটি অপরিচিত ছেলে হাসতে-হাসতে নিখিলবাবুর গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে। পরে জানতে পারলাম, ছেলেটি নিখিলবাবুর গাড়ির চালক। কাজেই এটা একটা রহস্যজনক ব্যাপার। তবে কী রহস্য, সেটা নিখিলবাবু এবং বিজেপি নেতারা বলতে পারবেন।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, গত ২০ মার্চ দিনহাটা আদালতে একটি পুরনো রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে আসেন নিখিলরঞ্জন। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁর গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। তাঁকে লক্ষ করে পুলিশের সামনেই ডিম ছোড়া হয়। এই ঘটনায় বিধায়ক দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগও করেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তার উপরে রবিবার ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই কোমর বেঁধে আসরে নামে শাসক দলের নেতারা। তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি বুঝে গিয়েছে তাদের পায়ের তলার মাটি নেই। মানুষ তাদের পাশে নেই। তাই মিথ্যা অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওই ভিডিয়োতে আসল ঘটনা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে।’’

যদিও নিখিলরঞ্জন দে পাল্টা বলেন, ‘‘আমার গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়েছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই। তারা চাকার নজেল খুলে ফেলে। পরে গাড়ির চালক সেই নজেল যখন ফের লাগাচ্ছিলেন, সে সময়ে তৃণমূল-কর্মী সমর্থকেরা ভিডিয়ো করে সেটাকে সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।’’ বিজেপির জেলা কমিটির এক নেতার বক্তব্য, ‘‘মানুষ তৃণমূলের সব চালাকি বুঝে গিয়েছে। এক জন বিধায়ক আদালতে হাজিরা দিতে গেলে, তাঁকে হেনস্থা হতে হয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতে। এর থেকেই সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার কী অবস্থা!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement