—ফাইল চিত্র
কখনও হাতির মৃত্যু হচ্ছে। কখনও হাতি জখম হচ্ছে। কখনও চিতার মৃত্যু হচ্ছে। পরপর পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যুতে বন্যপ্রাণী হাসপাতালের দাবি ফের উঠেছিল। আর সোমবারই কলকাতায় রাজ্যের বনমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, উত্তরবঙ্গে এমন হাসপাতাল গড়া হবে। এজন্য মাদারিহাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা ঘুরে এই খবর বিকেল নাগাদ পৌঁছয় উত্তরে। অনেকেই খুশি মন্ত্রীর এই বক্তব্যে। তবে অনেকেই কটাক্ষ করে জানিয়েছে, মন্ত্রী তো শুধু হাসপাতাল হবে বলে জানিয়েছেন। তার বেশি কিছু নয়। তাঁদের বক্তব্য, এর আগেও একাধিক বার অনেক মন্ত্রী উত্তরবঙ্গে এই হাসপাতাল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তৎকালীন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ জানান, জলদাপাড়া সংলগ্ন মাদারিহাটে বন্যপ্রাণীদের জন্য হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরে তিনি জানান, তার অনুমতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। তার পরে অবশ্য তা আর এগোয়নি। কিন্তু এখনও সেই প্রতিশ্রুতি যে বাস্তবায়িত হয়নি, তা বলাই বাহুল্য। একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন দফায় দফায় সরব হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে এই ধরনের হাসপাতালের দাবি দীর্ঘ সময়ের। বাম সরকারের সময়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরপর দু’জন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বন্যপ্রাণীদের জন্য হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানালেও আদতে তা কিছুই হয়নি। উত্তরবঙ্গে কেন একটি হাসপাতাল তৈরি হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অনেক আগে।
জলদাপাড়ায় চারদিনে পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতায় দফতরের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর রাজীব বলেন, ‘‘মাদারিহাটে একটি পশু চিকিৎসালয় গড়া হবে।’’
পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “পর পর গন্ডারের মৃত্যু হল। হাতির মৃত্যু তো মাঝে মধ্যেই হচ্ছে। এর বাইরে ছোট ছোট বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন। এমন ভাবে বন্যপ্রাণীদের ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না।” দ্রুত হাসপাতাল তৈরি হলে ওই অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন তার।