তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গিমারি এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ধারে চাষের জমি থেকে খালেক মিয়া (৭০) নামে ওই তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি বিজেপির পতাকা দিয়ে ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
দেহ উদ্ধারের পর তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপির মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য জোর করা হয় খালেককে। না যাওয়ার অপরাধে তাঁকে খুন করা হয়েছে। বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তৃণমূল কংগ্রেসর রাজ্য সহসভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “খালেককে বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। বিজেপির মিটিংয়ের না যাওয়ার কারণেই বুধবার রাতে হত্যা করা হয়।”
তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক উৎপল দাস বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ওই এলাকায় বিজেপির একটি পথসভা রয়েছে। সেই সভা বানচাল করতেই তৃণমূল ইচ্ছে করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপি কোনও যোগ নেই।”
কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, “মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”