(বাঁ দিকে) মঙ্গলবার কালিয়াচকের গন্ডগোলের দৃশ্য। (ডান দিকে) তৃণমূল কর্মীকে খুনে দ্বিতীয় ব্যক্তি গ্রেফতার। —ফাইল চিত্র।
মালদহের কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় গ্রেফতারি। ঘটনার তিন দিন পর ‘মূল অভিযুক্ত’ জ়াকির শেখকে পাকড়াও করল কালিয়াচক থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার কালিয়াচক-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জ়াকিরকে তাঁর কাশিমনগরের বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরও কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা বকুল শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের উপর হামলার মূলে ছিলেন জ়াকির। স্থানীয় সূত্রের খবর, জ়াকির নিজেও তৃণমূলের কর্মী। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি শাসকদলে যোগদান করেন। মালদহ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের অভিযান জারি রয়েছে। আরও বেশ কয়েক জন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এর আগে বুধবার তৃণমূল কর্মী হাসান শেখকে খুনের ঘটনায় আমির হামজা নামে এক জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তিনি জ়াকিরের শাগরেদ বলে জানা যায়। জখম তৃণমূল নেতা বকুলের ভাই গন্ডগোলের মূলচক্রী হিসাবে জ়াকিরের নাম নিয়েছিলেন। হামজা এবং জ়াকির দু’জনে তৃণমূলের লোক বলে বিরোধীরা দাবি করেছে। তাদের আরও দাবি, গন্ডগোলের নেপথ্যে ছিল এলাকার দখল নিয়ে লড়াই। যদিও ধৃত দুই যুবকের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় নিকাশি এবং রাস্তা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কালিয়াচক-১ ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, বকুলদের দিকে গুলি ছোড়া হয়। রাস্তায় পড়ে যান বকুল। জখম হন তৃণমূলের আরও কয়েক জন। সেখানে হাসান নামে তৃণমূলের এক কর্মীকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুনের অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ তদন্তে নামে দাবি করে সে দিন অকুস্থলে গুলি চলেনি। প্রথমে ওই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা বাদে কালিয়াচক-কাণ্ডে গ্রেফতার হন হামজা। এ বার জ়াকিরকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। কেন ওই হামলা, জ়াকিরদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তার তদন্ত চলছে। বস্তুত, মালদহের ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ১২ দিনের মাথায় ওই জেলায় এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে। বিরোধীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।