Jalpaiguri

সার্কিট বেঞ্চের কাজ দেখতে ফের পরিদর্শন

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে তৈরি হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন। প্রধান বিচারপতি-সহ পনেরো জন বিচারপতির এজলাস থাকছে ভবনে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৮
Share:
জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের কাজ চলছে জোর কদমে।

জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের কাজ চলছে জোর কদমে। নিজস্ব চিত্র।

সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর কাজ কত দূর এগোল, তা দেখতে জলপাইগুড়িতে আসছেন বিচারপতিদের প্রতিনিধি দল। ২৯ মার্চ, শনিবার সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত হাই কোর্টের কমিটির চেয়ারম্যান, বিচারপতি শম্পা সরকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। পরিকাঠামো নির্মাণ পরিদর্শন করে উদ্বোধন সংক্রান্ত প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে রিপোর্ট দেবেন পরিদর্শনকারী বিচারপতিরা। সূত্রের খবর, আগামী শনিবারের পরিদর্শনের রিপোর্ট দেখে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো দেখতে আসতে পারেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম।

Advertisement

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে তৈরি হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন। প্রধান বিচারপতি-সহ পনেরো জন বিচারপতির এজলাস থাকছে ভবনে। যদিও প্রাথমিক ভাবে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো তথা দু’টি একক বেঞ্চ এবং দু’টি যৌথ বেঞ্চ নিয়েই নতুন স্থায়ী ভবনে কাজ চলবে। ভবনের রংয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। দু-তিনটি এজলাসের পরিকাঠামো শেষের পথে। লিফ্‌ট-সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ বসানোর কাজ চলছে।স্থায়ী পরিকাঠামো যেভাবে চলছে তাতে ন্যূনতম আরও ছয় মাস প্রয়োজন সার্বিক কাজ শেষ করতে।

কয়েক সপ্তাহ আগে পরিদর্শনে এসে বিচারপতি শম্পা সরকার সার্কিট বেঞ্চের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন। দ্রুত স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন হতে পারে বলেও বিচার বিভাগের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। ইস্ট ওয়েস্ট করিডর তথা চার লেনের মহাসড়কের পাশেই হাই কোর্টের বেঞ্চের স্থায়ী ভবন তৈরি হয়েছে। সে কারণে জাতীয় সড়ক থেকে বেঞ্চে যেতে সার্ভিস রোড তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সার্ভিস রোড তৈরির কাজের অনেকটাই বাকি রয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষই সার্ভিস রোড তৈরি করছেন। আপাতত বালি ফেলা হয়েছে। দ্রুত কংক্রিট এবং পিচের কাজ করা হবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তার কাজ শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিকের কথায়, “যদি জরুরি ভিত্তিতে কাজ শেষ করার নির্দেশ আসে, তা হলে দ্রুত কাজ করানো হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement