ইজ়রায়েল থেকে ফিরল যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইজ়রায়েল থেকে আতঙ্ক সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন কোচবিহারের শীতলখুচির গবেষক। ছেলে বাড়ি ফেরায় স্বস্তি ফিরল পরিবারেও। সে বাড়ির ছেলে রম্বিক রায় পড়তে গিয়েছিলেন সে দেশে। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ যে এমন বিপদ নেমে আসবে, তার আঁচ আগে মেলেনি। শুরু হয় যুদ্ধ। তার জেরে, ইজ়রায়েলে আটকে পড়েন শীতলখুচি ব্লকের গোসাঁইরহাটের আশ্রমপাড়ার রম্বিক।
রম্বিক পদার্থবিদ্যার ছাত্র। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি করেছেন। কয়েক মাস আগে তিনি পোস্ট ডক্টরেট করতে যান ইজ়রায়েলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ে। হঠাৎই শুরু হয় যুদ্ধ। সে খবরে উৎকন্ঠায় ছিল রম্বিকের পরিবার। শেষে, শনিবার ইজ়রায়েল থেকে বিমানে রওনা দিয়ে রবিবার বাড়ি ফেরেন ওই যুবক। রম্বিক বলেন, ‘‘ইজ়রায়েলে আমি যেখানে থাকতাম, সেখানে যুদ্ধের প্রভাব সে ভাবে পড়েনি৷ তবে ক্ষেপণাস্ত্র হানার সময় সাইরেন বেজে উঠত। নিয়ম রয়েছে, সাইরেন বাজলে এক মিনিটের মধ্যে বম্ব শেল্টারে আশ্রয় নিতে হয়। একাধিক বার তেমন ঘটেছে। ক্ষেপণাস্ত্র, বোমার শব্দ না পেলেও, সাইরেনের শব্দে ভয় ধরত। জানি না, এই সঙ্ঘাত কবে শেষ হবে! কবে ফের সেখানে ফিরতে পারব! পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফিরব। আপাতত অনলাইনে পড়াশোনা চলবে।’’