— প্রতীকী চিত্র।
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলেজে ‘দাদাগিরির’ অভিযোগ উঠল শাসক দলের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। শনিবার কোচবিহারের শীতলখুচি কলেজে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কী ভাবে ওই যুবক ঢুকলেন, প্রশ্ন উঠেছে। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিমেষ রায় বলেন, ‘‘শীতলখুচি কলেজ থেকে একটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র আইনে ওই যুবকের বিরুদ্ধেমামলা রুজু করা হয়েছে।’’
কলেজ সূত্রের খবর, শীতলখুচি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দু’টি ‘গোষ্ঠী’ রয়েছে। অভিযোগ, দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রনেতা এক সময়ে কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় শীতলখুচি কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেতা মাসুম আখতার ও তাঁর সঙ্গীরা কলেজে গেলে সেখানকার বর্তমান টিএমসিপি সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময়ে প্রাক্তন ছাত্রনেতা মাসুমের কাছে থাকা দেশি পিস্তল কোনও ভাবে মাটিতে পড়ে যায়। এর পরেই কলেজের পাঁচিল টপকে অভিযুক্ত পালিয়ে যান। পরে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করে। এ নিয়ে একটি ভিডিয়োও ছড়িয়েছে (আনন্দবাজার পত্রিকা সেটির সত্যতা যাচাই করেনি)।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুম বলেন, ‘‘শীতলখুচি কলেজে যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা সহ-সভাপতি প্রসূন রায় বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিন্দনীয়। অভিযুক্ত আমাদের সংগঠনের কোনও পদে নেই। তিনি যদি এই ধরনের কাজ করেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। দলের তরফেও পদক্ষেপ করা হবে।’’