প্রতীকী ছবি।
পরেশ অধিকারী দল পরিবর্তনের পরেই নিজের ‘ফেসবুক পেজে’ ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাসের একটি ‘স্ট্যাটাস’ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ওই লেখায় তিনি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে সাবধান করে দিয়ে জানিয়েছেন, যারা দল পরিবর্তন করছেন তাঁরা কোনওভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নন। ওই লেখায় ব্যবহৃত কিছু শব্দ নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। পরে অবশ্য দেবব্রতবাবু জানিয়েছেন, ওই লেখাটি তাঁর নয়, দলের তরুণ নেতা সুদীপ ভট্টাচার্যের। তবে, তিনি ওই লেখার সঙ্গে সহমত। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতেই তিনি নিজের ‘পেজে’ তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যাঁরা দলবদল করেছেন তাঁরা ক্ষমতা দেখেছেন। লড়াই, আন্দোলন দেখেননি। তাঁদের আশা ছিল, বামেরা আবার পাঁচ বছরের মধ্যে ফিরে আসবে। সে আসা ম্লান হতে দেখে দল পরিবর্তন করছেন।” সেই সঙ্গে তিনি অবশ্য দলবদল নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বদেরও ভাবার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান।
ওই লেখা নিয়ে ফেসবুকেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তাঁর বাবা প্রয়াত দীপক সেনগুপ্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন এবং দীর্ঘসময় বিধায়কও ছিলেন। দীপ্তিমানবাবু বলেন, “ওই লেখায় ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এভাবেই ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব ইতিহাস বিকৃত করেছে। দীপকবাবুর মতো নেতাকেও অসম্মান করা হয়েছে। যার জন্য এই দলটির এমন অবস্থা।”
সদ্য ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পরেশবাবু অবশ্য এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চান না। তিনি বলেন, “এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে নেই। কারা কী করেছে, তা সবাই জানে।” তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য, পরেশবাবুকে যোগ্য সম্মান দেয়নি দল। এমনকী অনেককেই ‘নেতা’ করে দেওয়া হয়েছে, যাঁদের সেই যোগ্যতা নেই। ওই দলে থেকে আর কখনও কিছু হওয়ার নেই বলেই তিনি সরে এসেছেন।
এক সময় দিনহাটা তথা কোচবিহার ফরওয়ার্ড ব্লকের গড় বলেই পরিচিত ছিল। ২০১১-তেও সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেও পরে থাবা বসায় তৃণমূল।