এই চা কারখানাতেই ঘটেছিল ঘটনাটি। নিজস্ব চিত্র।
রাতে কারখানায় চোর ঢোকাচ্ছেন খোদ পাহারাদার! চোর ভেবে নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক মাধরের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। মঙ্গলবার রাতে রাজগঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে পিছমোড়া করে দু’হাত বেঁধে মারধর করছেন কয়েক জন। ওই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই নিরাপত্তারক্ষীর পরিবারের তরফে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানভিটা এলাকার একটি চা কারখানায় এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কারখানার ম্যানেজার শুভঙ্কর মল্লিকের বিরুদ্ধে। এর পর ওই নিরাপত্তারক্ষীকে রাজগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। কারখানার ম্যানেজার শুভঙ্কর দাবি করেন, রাতে কারখানায় দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়ে চুরির পরিকল্পনা করেছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। তাঁকে হাতেনাতে ধরেও ফেলেছেন কারখানার লোকজন।
কারখানার এক শ্রমিক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের ঘটনা ভিডিয়োবন্দি করে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেই তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাত ২টো নাগাদ কারখানা থেকে শব্দ পাই। আমি মোবাইলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে গিয়ে দেখি কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এর পর আমি একাই বাংলো থেকে কারখানায় যাই। গিয়ে দেখি বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতকারী চা পাতা গাড়িতে তুলছে। ওরা আমাদের কারখানায় ঢুকেছিল কোনও তালা না ভেঙে। ৩২ ব্যাগ চা পাতা গাড়িতে তুলেছিল ওরা। যার বাজারমূল্য দু’লক্ষ টাকার উপরে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মারধরের ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীর পরিবার কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘কারখানায় চুরি এবং নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর— এই মর্মে দু’টি পৃথক অভিযোগ রাজগঞ্জ থানায় দায়ের হয়েছে। দু’টি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এক জন গ্রেফতার হয়েছেন।’’