স্কুল বাড়ির পিছনে গড়ে তোলা হয়েছে আনাজ খেত। করণদিঘি হাইস্কুলে। নিজস্ব চিত্র।
মিড-ডে মিলের জন্য স্কুলে আনাজ চাষ শুরু করেছেন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। ছাত্রছাত্রীদের পাতে ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে স্কুলে ফলানো লাউ, ঢেঁড়শ, পটল। বাজার থেকে আনাজ কিনতে না হলে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বাঁচানো সম্ভব হবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। স্কুলের পাশের ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়েছে আনাজ বাগান। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নবনীল দে বলেন, ‘‘বাজারদর অনুপাতে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ কম। পুষ্টি বজায় রেখে সারা বছর কর্মসূচি চালাতে হিমশিম খেতে হয়। নিজেদের চাষের আনাজ পেলে অনেকটাই সুবিধা।’’ স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য উদয়চাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘‘স্কুলের জমিতে আনাজ চাষের এলাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দরিদ্র পরিবারের অনেক পড়ুয়াই বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার পায় না। স্কুলের আনাজ পুষ্টির জোগানে সাহায্য করবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা মাঝেমধ্যেই নিজেদের টাকায় পড়ুয়াদের মুরগির মাংস খাওয়ান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘বাগানে ফসল ফলতে শুরু করায় সপ্তায় দু’তিন দিন বাজার থেকে আনাজ কেনা বন্ধ করতে পেরেছি। খরচ কিছুটা কমানো গিয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলে পড়ুয়া-পিছু বরাদ্দ আট টাকা ১৭ পয়সা। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া-পিছু বরাদ্দ পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা। ওই টাকার মধ্যেই কিনতে হয় আনাজ, ডাল, সয়াবিন, পোস্ত, ডিম, তেল, মুদিখানার সামগ্রী ও গ্যাস সিলিন্ডার। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিড-ডে মিলের মোট উপভোক্তার ৮৫ শতাংশের জন্য টাকা দেওয়া হয়।