ডুয়ার্সে ধরা পড়া বিরল প্রজাতির শকুন। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার বিকেলে ডুয়ার্সের বানারহাটে দেখা মিলল লুপ্তপ্রায় ‘হিমালয়ান গ্রিফন’ শকুনের। বানারহাট টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় শকুনটি উড়ে এসে বসে। স্থানীয়রা সেটিকে দেখতে পেয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন। ভিড় দেখে শকুনটি কিছুটা দূরে এক চা বাগান শ্রমিকের বাড়ির ছাদে গিয়ে বসে। স্থানীয়রা পরে বন দফতরে খবর দিলে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা শকুনটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
২০১৫ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’ হিমালয়ান গ্রিফন শকুনকে ‘নিয়ার থ্রেটেন্ড’ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করে। এক সময় হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল এবং তিব্বতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এদের বসতি ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার থেকে ৪ হাজার মিটার উচ্চতায় এদের বসবাস। প্রজননের মরসুমে এরা ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার উচ্চতায় নেমে আসে। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এদের লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে সমতলে নেমে আসতে দেখা যায়। তবে বানারহাট ও সংলগ্ন এলাকায় এই প্রজাতির শকুন বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।
বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন এই শকুনটি সম্ভবত লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে সমতলে নেমে এসেছে। দীর্ঘ উড়ানে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হয়তো উড়তে সমস্যাও হচ্ছিল। তাই বিশ্রামের জন্য সেটি বসে পড়ে সেখানে। বনকর্মীরা শকুনটিকে উদ্ধার করে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান। আপাতত শকুনটি সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।