বিহার পুলিশের অভিযুক্ত কনস্টেবল। —নিজস্ব চিত্র।
চলন্ত ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার বিহার পুলিশের কনস্টেবল। কামরায় থাকা ছাত্রীর সহপাঠীরা মালপত্র বাঁধার শিকল দিয়ে অভিযুক্তকে বেঁধে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি)-তে নিয়ে আসেন। ওই ছাত্রী এনজেপিতে অভিযোগ দায়ের করার পরে, বিহার পুলিশের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে এ দিন জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয়।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, ছুটিতে দিল্লি থেকে অসম ফিরছিলেন ওই ছাত্রী এবং অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা। নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেসের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় সোমবার ভোরে বিহারের নওগাছিয়া থেকে বিহার পুলিশের ওই কনস্টেবল নবীনকুমার সিংহকে টিকিট ছাড়াই কামরায় দেখা যায়। ট্রেন কাটিহারে ঢোকার আগে, ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
ছাত্রীর চিৎকারে তাঁর সঙ্গীরা এবং ট্রেনের কিছু যাত্রী এসে কনস্টেবলকে ধরে ফেলেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে ছাড়াতে বিহার রেল পুলিশের একাধিক পুলিশকর্মীও চলে আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের বাদানুবাদও হয়। পরে অন্যান্য যাত্রীরাও সরব হলে, ওই কনস্টেবলকে এনজেপি-তে আনা হয়। এ দিন সকালে এনজেপিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ছাত্রী। শিলিগুড়ির রেলপুলিশ সুপার সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘ওই ছাত্রীর অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত কনস্টেবলেকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় টিকিট ছাড়া কী করে ওঠা গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রেনে কি রেল পুলিশ বা রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানেরা (আরপিএফ) কি ছিলেন না? সূত্রের ইঙ্গিত, ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি কর্মীদের ‘বুঝিয়ে-সুঝিয়ে’ কামরায় ওঠা হয়েছিল। তাই প্রশ্ন উঠেছে রাতের ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে রেলের আলাদা করে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছেন যাত্রীরা। যদিও তা এখনই করছে না রেল। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্রকুমার বলেন, ‘‘আদালতের রায় দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’