প্রতীকী ছবি।
চোর সন্দেহে ফের গণধোলাইয়ের অভিযোগ মালদহে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বামনগোলার কন্যাদিঘি গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি গণেশ সরেন মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন। ফের গণধোলাইয়ের ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
গণধোলাইয়ের ঘটনায় বছর তিনেক আগে মালদহ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। হবিবপুর ও বামনগোলা থানা এলাকায় একের পর এক গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি গণধোলাইয়ে হবিবপুরের বুলবুলচন্ডীতে এক জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। শুধু হবিবপুর, বামনগোলায় নয়, গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে ইংরেজবাজার, গাজল এবং পুরাতন মালদহেও। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজুর পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইকিং করে সচেতনতার বার্তাও দেয় পুলিশ। এমন অবস্থায় ফের গণধোলাইয়ের ঘটনা সামনে আসায় বিপাকে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
স্থানীয়দের দাবি, গণেশ সরেন বামনগোলার বাসিন্দা। তিনি দোল উপলক্ষে বামনগোলায় বাউল মেলায় ঘুরতে আসেন। এ দিন রাত হয়ে যাওয়ায় মেলা চত্বরেই একটি দোকানের সামনে ঘুমিয়ে পড়েন গণেশ। অভিযোগ, তাঁকে চোর সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের একাংশ গণেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর আঘাত গুরুতর থাকায় রাতেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করেন। গণেশ বলেন, ‘‘রাতে গাড়ি না পাওয়ায় দোকানের সামনে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আচমকা এক দল যুবক আমাকে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর শুরু করে। স্থানীয় কিছু মানুষ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।’’
যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে দাবি পুলিশের। মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মারধরের কারণ খতিয়ে দেখা
হচ্ছে।’’