পুরো বিল মেটাতে না পারায় এক রোগীকে ছুটি দিতে গড়িমসির অভিযোগ উঠল কোচবিহারে।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের চকচকা এলাকার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পরিজনেরা ওই ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছেও সরব হন তাঁরা। তবে স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাননি। তবে ঘটনা জানাজানি হতেই রোগীকে ‘বিল’ ছাড় দিয়ে ছুটি দেওয়া হয়। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন অবশ্য জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
রোগীর বাড়ির লোকেরা জানান, মাথাভাঙার ছাট খাটেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায় গত রবিবার দুর্ঘটনায় জখম হন। তাঁর ডান পায়ে আঘাত লাগে। পেশায় কাঠমিস্ত্রি শ্যামলবাবুকে ওই দিনই তাঁরা কোচবিহার জেলা হাসপাতাল বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের পরামর্শে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।
অভিযোগ, প্রাথমিক ভাবে ৬০ হাজার টাকার প্যাকেজ বলা হলেও মঙ্গলবার প্রায় ৬৮ হাজার টাকার বিল দাবি করা হয়।
ওই টাকা মেটাতে না পারায় ছুটি দিতে গড়িমসি করা হয়। রোগীর ভাই জয়ন্ত বর্মন বলেন, “বাড়ির গাছ, গরু বিক্রি আর টাকা ধার করে প্যাকেজ মতো ৬০ হাজার টাকা মেটাই। তারপরেও আরও টাকা দাবি করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের লোকেদের জানানোর পরো ছুটি দেওয়া হয়।” ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, রোগীর পায়ে ‘প্লেট’ বসাতে হয়।
অস্ত্রোপচার হয়েছে।
তার উপর ওষুধ সহ অন্য বিল মিলিয়েই প্রায় ৬৮ হাজার টাকা বিল হয়। রোগীর পরিজনদের শুরুতেই ৫ হাজার টাকা ছাড় দেওয়ার কথা জানান হয়। পরে ওরা সমস্যার কথা জানাননি।
বিষয়টি নজরে আসার পরে নতুন করে টাকা নেওয়া হয়নি। ওই নার্সিংহোমের এক কর্তা শঙ্কর সিংহ বলেন, “আমরা সব সময় ছাড় দিই। এ ক্ষেত্রেও তা দেওয়া হয়। ৬০ হাজারের থেকেও ৬০০ টাকা কম টাকা দিয়েছেন ওঁরা। যা হয়েছে তা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে।” তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখন এ সব কথা বলা হলেও গোড়ায় নারিস্ংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও কথাই শুনতে চাইছিলেন না।