আবার ধর্ষণের অভিযোগ! প্রতীকী চিত্র।
কয়েক মাস আগেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আবার এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। মঙ্গলবার ভেমটিয়া এলাকায় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় ভাইরাল হয়েছে অভিযুক্তের একটি অডিয়ো টেপ। যেখানে শোনা গিয়েছে, অভিযুক্ত নিজেই বলছেন, এক জন নয়, একাধিক ব্যক্তি মিলে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করেছেন। আনন্দবাজার যদিও ওই অডিয়ো টেপের সত্যতা যাচাই করেনি।
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, ওই ঘটনার পর ধূপগুড়ি থানায় নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে এলাকার মাতব্বরেরা তাঁদের আটকান। তাঁদের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পরিবর্তে সালিশি সভা করে ধর্ষণের মতো অভিযোগ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, ওই সময়ের মধ্যে নির্যাতিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তার পরেও প্রায় ৩ ঘণ্টা চিকিৎসাহীন হয়ে পড়ে থাকে নির্যাতিতা।
পরে টাকার অভাবে পরিবার অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে পারছিলেন না। সংবাদমাধ্যমের হস্তক্ষেপে এবং স্থানীয় কিছু মানুষ ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন। এর পর ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি পাঠানো হয় নির্যাতিতাকে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সটিকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে আটকায় পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতিতার জবানবন্দি নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতভর ভেমটিয়ায় অভিযান চালায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার পরেই ধূপগুড়ি থানায় আসেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া, জলপাইগুড়ির ডিএসপি (অপরাধ) বিক্রমজিৎ লামা। পুলিশের দাবি, এটা গণধর্ষণের ঘটনা নয়। এক জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের একটি কথোপকথনের অডিয়ো টেপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে, তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও ৪-৫ জন মিলে নাবালিকাকে নির্যাতন করেছেন!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।