জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পায়েল খাতুন।
বকেয়া রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের সভাপতি নির্বাচন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে সভাপতি ছাড়াই জেলা পরিষদের কাজ চলছে। এরই মধ্যে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পায়েল খাতুন। এর পরই পায়েল বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক থাকল না। অন্য কোনও দলেও যাব না। নিজে দল করব।’’ পায়েলের এই দাবি সত্ত্বেও তাঁর বিজেপি-যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
মালদহ জেলা পরিষদে ৩৮টি আসন রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদেরই হাতে। জেলা পরিষদে জোড়াফুল শিবিরের সদস্য সংখ্যা ২৪ জন। দু’জন কংগ্রেসের। অন্য দিকে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, সময় হলেই প্রমাণ হবে জেলা পরিষদের ক্ষমতা বিজেপি-র দখলে। জেলা পরিষদের নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও তা নিয়ে জল্পনার মাঝে পায়েলের পদত্যাগ নতুন রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। বিবেকের তাড়নায় এ বার তৃণমূল ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে সরলাম।’’
এ বিষয়ে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী বলেন, ‘‘পায়েল খাতুনের পদত্যাগ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। বিধানসভা নির্বাচনে পায়েলের স্বামী মহম্মদ ইয়াসিন বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে পায়েল বিজেপি-তেই রয়েছেন ধরে নিয়ে তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল তৃণমূল। তাঁর পদত্যাগে মালদহ জেলা পরিষদের ক্ষমতা বেদখল হওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই। সভাপতিও তৃণমূলেরই হবে।’’