আরও ঘনীভূত প্রমোদতরী রহস্য। ফাইল ছবি।
শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানকে কি অপহরণ করা হয়েছিল? মহারাষ্ট্রের দাপুটে মন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা নবাব মালিকের নবতম অভিযোগ এমনই। রবিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে নবাব অভিযোগ করেন, ‘আরিয়ান প্রমোদতরীর টিকিট কেনেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাই আরিয়ানকে ওখানে ডেকে আনেন।’ তার পরই নবাব বলেন, ‘‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এটা একটা অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা।’’
বিস্ফোরক অভিযোগ করে নবাব বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ ফাঁদ পেতেছিলেন। সেই পরিকল্পনামাফিক আরিয়ানকে সেখানে ডেকে আনা হয়। তার পর অপহরণ করে ২৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পালা। ১৮ কোটি টাকায় চুক্তি চূড়ান্ত হয়। তার মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি নিজস্বী সব গোলমাল করে দিল।’’
পর্যবেক্ষকদের অনুমান, গোসাভির সঙ্গে আরিয়ানের সেলফির দিকে ইঙ্গিত করছেন নবাব। গোটা ষড়যন্ত্রের মূল চক্রী হিসেবে নবাব বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজের নাম করেন। যে মোহিত শনিবার এনসিপি নেতা ঘনিষ্ঠ জনৈক সুনীল পাটিলকে মূলচক্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন।
অন্য দিকে নবাবের অভিযোগের পাল্টা মন্তব্য এসেছে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (এনসিবি) তরফেও। নবাব যে ভাবে মাদক কাণ্ডকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা হিসেবে বর্ণনা করছেন, তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবেন কি? এনসিবি আধিকারিকদের একাংশ এই কথা বলছেন। এনসিবি-র আধিকারিকদের একটি অংশের প্রশ্ন, যে অভিযোগ প্রকাশ্যে করছেন নবাব, তা নিয়ে কেন তিনি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না?