প্রতীকী ছবি।
প্রথম দু’বারে কিছুই আসেনি রিপোর্টে। কিন্তু তৃতীয় বার পরীক্ষার পরেই ধরা পড়ল করোনা সংক্রমণ। মালদহ জেলার তৃতীয় যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর ক্ষেত্রে এমন দৃষ্টান্ত তৈরি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষদের এখনই তড়িঘড়ি লালারস পরীক্ষা করতে চাইছে না স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বরং ওই ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সাত দিনের মাথায় তাঁর পরিবার ও সংস্পর্শে আসা মানুষদের লালারস পরীক্ষা করতে চাইছে তাঁরা। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, এর ফলে দেরি হয়ে যাবে না তো? কেননা, সংস্পর্শে আসা কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তিনি অন্য আরও অনেকের মধ্যে তা সংক্রমিত করতে পারেন। এ দিকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত নেই। এ দিন ১০০ জনের লালারস পরীক্ষা চলছে।
মানিকচকের নারিদিয়ারা গ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। তার কয়েক দিন পরেই দ্বিতীয় আক্রান্তের হদিস মেলে রতুয়ার বাহারালে। তিনি অবশ্য এ দিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁকে রীতিমতো বাজি ফাটিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের লোক। বুধবার রাতে মানিকচক ব্লকের 'কনটেনমেন্ট জ়োন' এলাকা নারিদিয়ারার বাসিন্দা এক যুবকের লালারসের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল বারাসত থেকে মানিকচকের নারিদিয়ারা গ্রামের যে চার জন ফিরেছিলেন, তাঁদের মানিকচক কলেজ সরকারি কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। তাদের সকলের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র একজনেরই পজ়িটিভ আসে। বাকি তিনজন সরকারি কোয়রান্টিনে ছিলেন। এক সপ্তাহ বাদে ফের পরীক্ষাতেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সরকারি কোয়রান্টিনে ১৪ দিন হলে ছাড়তে হবে। সে জন্য তিন দিন আগে ফের তাঁদের লালারস পরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই বুধবার রাতে একজনের পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে।
জেলার চিকিৎসকদের অনেকে বলছেন, ওই ব্যক্তি সরকারি কোয়রান্টিনে নজরদারিতে ছিল বলেই তার তৃতীয়বার পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু যাঁরা হোম কোয়রান্টিনে আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কি এটা করা সম্ভব? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একজন আক্রান্ত হওয়ার পরপরই তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষদের লালারস পরীক্ষা করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে।’’