বাড়ির সামনে উৎসুক জনতার ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রী এবং পুত্রকে গলা কেটে খুন করে আত্মহত্যা করলেন স্বামী। এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের কিসমত এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। স্বামী এবং স্ত্রী-র মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই অশান্তি চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
কিসমত গ্রাম পঞ্চায়েতের টিয়াদহ এলাকার বাসিন্দা মনোরঞ্জন সরকার (৫২)। রবিবার বেলা বাড়লেও তাঁর বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখতে পান মনোরঞ্জন, তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা (২২) এবং তাঁদের বছর পাঁচেকের পুত্রসন্তান রনির নিষ্প্রাণ দেহ। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিন জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মনোরঞ্জন এবং সান্ত্বনার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছিল। শনিবার তাঁদের বিবাদ চরমে ওঠে। ওই রাতেই মনোরঞ্জন তাঁর স্ত্রী এবং এবং পুত্রকে গলা কেটে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দিয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মনোরঞ্জনের ভাই বিপুল সরকার বলেন, ‘‘দাদা এবং বৌদির মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ । গতকাল রাতে দাদা সপরিবারে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। রাতে সকলে ফিরে আসেন। কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটবে, আমরা আন্দাজ করতে পারিনি।’’ সান্ত্বনা সরকারের মা রত্না বর্মণ বলছেন, ‘‘সান্ত্বনা পানের দোকানে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়। মেয়ে এবং জামাই আমাদের বাড়িতেই ছিল। কিন্তু ওই ঘটনার পর সে রাগ করে বাড়ি ফিরে যায়। সন্ধ্যায় মেয়ে এবং নাতিও বাড়ি চলে যায়। কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর এমন ঘটনা ঘটবে, ভাবতে পারিনি।’’