কোচবিহার আদালতে সেনাবাহিনীর দল। — নিজস্ব চিত্র।
গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার হল গ্রেনেড। সেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য রবিবার বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনি থেকে এল সেনাবাহিনীর একটি দল। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহার জেলা আদালতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার আদালতের মালখানায় মজুত একটি গাঁজার প্যাকেটে থেকে ওই গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছিল দিন কয়েক আগে। সেই গ্রেনেড রবিবার মালখানার মধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়।
কোচবিহার কোতয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে কোচবিহার জেলা আদালতের মালখানায় মজুত করা একটি গাঁজার প্যাকেট থেকে পাওয়া যায় গ্রেনেডটি। মালখানায় মজুত জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় ওই গ্রেনেডটি। এর পর খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। কিন্তু বম্ব স্কোয়াড তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। কারণ ওই গ্রেনেডটি সেনাবাহিনীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। এর পর ওই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে। সেখান থেকে রবিবার বিন্নাগুড়ি সিক্স ইঞ্জিনিয়ার ডিভিশনের ১০ জনের একটি দল পৌঁছয় কোচবিহার জেলা আদালতে। সেই দলটি এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। সঙ্গে ছিল দমকল বিভাগও।
মালখানায় কী ভাবে গাঁজার প্যাকেটে কী ভাবে গ্রেনেড এল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথা থেকে ওই প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল এবং কী ভাবে পাওয়া গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে কোচবিহার কোতয়ালি থানার পুলিশ।
কোচবিহার আদালতের মালখানায় পাওয়া সেই গ্রেনেডটি। — নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের মালখানা সাফাই করার সময় একটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। তা সেনাবাহিনীর। এর পর পুলিশের বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়। তবে তাঁরা জানান, এটা সেনাবাহিনীর তৈরি। তাঁরা তা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। আজ সেনাবাহিনীর দল এসে নানা রকম আগাম ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। আদালতের মালখানার মধ্যেই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কোনও ক্ষতি হয়নি। মালখানা আবার আগের মতো ব্যবহার করা যাবে।’’