অস্ত্রোপচারের পরে। নিজস্ব চিত্র
খেলতে খেলতে আড়াই ইঞ্চির আস্ত একটি ব্যাটারি গিলে ফেলেছিল এক শিশু। খাদ্যনালীতে তা আটকে থাকায় যন্ত্রণায় ছটফট করছিল সে। অস্ত্রোপচার করে সেই ব্যাটারি বার করলেন চিকিৎসকেরা। সোমবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রামপঞ্চায়েতের আইহো গ্রামের বাসিন্দা, প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক সঞ্জিত সরকার। তাঁর তিন বছরের ছেলে অনীক। সোমবার রাতে টিভির রিমোট নিয়ে খেলা করছিল সে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা চিৎকার করে কান্না জুড়ে দেয় ওই শিশু। পরিবারের লোকেরা দেখেন, রিমোটের একটি ব্যাটারি নেই। শিশুটিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এক্স-রে করা হয়। দেখা যায়, শিশুটির খাদ্যনালীতে ব্যাটারি আটকে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শল্য চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মণ্ডলের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। ঘন্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার করে শিশুটির খাদ্যনালীতে আটকে থাকা ব্যাটারি বের করা হয়। এখন শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক পার্থপ্রতিম। তিনি বলেন, “দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে শিশুটির সমস্যা হতে পারত।”
করোনা আবহে অস্ত্রোপচারের আগে রোগীর সংক্রমণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরেই অস্ত্রোপচার করা হয় রোগীর। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা তৎপর হয়ে অস্ত্রোপচার করে শিশুটির খাদ্যনালী থেকে ব্যাটারি বের করায় স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরা। সঞ্জিত বলেন, ‘‘খেলতে গিয়ে ব্যাটারি গিলে ফেলবে ভাবতেই পারিনি। রিমোটে একটি ব্যাটারি কম দেখে সন্দেহ হয়। চিকিৎসকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, “বিরল অস্ত্রোপচার আমাদের হাসপাতালে আগেও হয়েছে। মানুষকে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টাই করা হয়।”