Pradhan Mantri Aawas Yojna

তালিকায় প্রধানদের আত্মীয়েরা কেন, তালা দুই প্রধানেরই পাকা বাড়ি

দুই পঞ্চায়েতে আবাস নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকেও আবাস যোজনায় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৪২
Share:

পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র।

এক জন শাসক দলের। অন্য জন কংগ্রেসের। শাসক দলের প্রধানের স্বামী ও কংগ্রেস প্রধানের ভাই ও একাধিক আত্মীয়ের নাম রয়েছে তালিকায়। এমনই অভিযোগকে ঘিরে ফের তালা ঝুলল পঞ্চায়েতে। দু’দিন আগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়েছিলেন বাসিন্দাদের একাংশ। শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল পঞ্চায়েত তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। দুই পঞ্চায়েতে আবাস নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকেও আবাস যোজনায় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে তালিকায় হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী, কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের নামও তালিকায় রয়েছে বলে দাবি। কিন্তু তা সংশোধন করতে বিডিও অভিযোগ নিচ্ছেন না বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য। যদিও বিডিও সে অভিযোগ ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ভিঙ্গোল পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান বিমানবিহারী বসাকের ভাই ও কয়েক জন আত্মীয় ছাড়াও উপপ্রধান সেকেন্দার বক্সের বাবার নাম তালিকায় রয়েছে। অথচ, প্রকৃত গরিব মানুষদের নাম তালিকায় নেই বলে অভিযোগে দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। আবার চাঁচল ১ ব্লকের মতিহারপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা দাসের স্বামী গণেশ দাস ও পরিবারের দু’জনের নাম তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ। বিমান ফোন ধরেননি! সেকেন্দার বলেন, ‘‘বাবার নাম আগে থাকলেও এখন নেই।’’ আর নমিতা বলেন, ‘‘বাড়ি আমার ছেলের নামে। তবু নাম কেটে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের একটি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ও একাধিক সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষের নাম তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য খলিলুর রহমানের দাবি, ‘‘এ নিয়ে বিডিওকে অভিযোগ জানাতে গেলে নেওয়া হচ্ছে না। জেলাশাসককে সব জানিয়েছি।’’

Advertisement

বিডিও বিজয় গিরি বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’ জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়! অভিযোগ নেওয়ার জন্য প্রতিটি ব্লকে ড্রপ বক্স রাখা আছে। প্রশাসনের তরফে প্রতিটি অভিযোগ একাধিক বার খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement