দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি, ভায়া কলকাতা

মন্ত্রীর ঘুম ভেঙেছিল দার্জিলিঙে। সকাল কাটল নকশালবাড়িতে। দুপুরে কলকাতায় গিয়ে ফাইলে সই করলেন। সন্ধ্যায় ফিরলেন শিলিগুড়িতে।সরকারি অথবা সাংগঠনিক কাজে উত্তরবঙ্গের নেতা-মন্ত্রীরা সপ্তাহে এক-দু’দিন কলকাতায় থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:০১
Share:

নেতৃত্বে: নকশালবাড়িতে রাজু ও গীতার সঙ্গে গৌতম। —নিজস্ব চিত্র।

মন্ত্রীর ঘুম ভেঙেছিল দার্জিলিঙে। সকাল কাটল নকশালবাড়িতে। দুপুরে কলকাতায় গিয়ে ফাইলে সই করলেন। সন্ধ্যায় ফিরলেন শিলিগুড়িতে।

Advertisement

সরকারি অথবা সাংগঠনিক কাজে উত্তরবঙ্গের নেতা-মন্ত্রীরা সপ্তাহে এক-দু’দিন কলকাতায় থাকেন। একই দিনে কলকাতা-শিলিগুড়িতে পৃথক বৈঠক করেছেন এমন নজিরও রয়েছে উত্তরবঙ্গের ডান-বাম সব দলেরই নেতা মন্ত্রী-প্রাক্তন মন্ত্রীদের অনেকেরই। তবে এ দিন বুধবার দুপুরে ফাইল সই করার জন্য শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা উড়ে গেলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

দমদম বিমানবন্দর থেকে নিউ সেক্রেটারিয়েটের অফিসে আসা যাওয়া, ফাইল সই করা সব মিলিয়ে ঘণ্টা তিনেক কলকাতা কাটিয়ে দমদম থেকে ফের বাগডোগরার উড়ান ধরলেন তিনি। গৌতমবাবুর মন্তব্য, ‘‘কয়েকটি জরুরি ফাইলে সই করার ছিল। পর্যটনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই ফাইলে সই করা বাকি ছিল। তাই কয়েকঘণ্টার জন্য হলেও কলকাতায় যেতেই হয়েছিল।’’

Advertisement

দার্জিলিং পুরসভার ভোটে দলের তরফে দায়িত্বে রয়েছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতমবাবু। দলের নির্দেশে মাঝেমধ্যে দার্জিলিঙেই থাকছেন তিনি। মঙ্গলবার সেখানে মিছিলও করেছেন। বুধবার সকাল সওয়া সাতটা নাগাদ তিনি দার্জিলিং থেকে রওনা দিয়ে নকশালবাড়ি পৌঁছন। সেখানে রাজু মাহালি এবং তাঁর স্ত্রী গীতাকে দলে যোগদান করিয়ে তাঁদের বাড়িতেও যান। সেখান থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। সাড়ে ১২টার উড়ান ধরে দেড়টায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন। কাজ সেরে দমদম থেকে বিকেল চারটে কুড়ির বিমানে উঠে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাগডোগরা পৌঁছন গৌতমবাবু। সন্ধ্যে ৬টা থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ছিলেন চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী।

কী এমন জরুরি ফাইল ছিল যে দু’বার বিমান যাত্রা করে কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতায় যেতে হল মন্ত্রীকে?

জানা গিয়েছে, পর্যটন দফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সরকারি নির্দেশে সই করতে হবে মন্ত্রীকেই। তাতেই উভয়সঙ্কটে পড়েন মন্ত্রী। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনও ফাইল ফেলে রাখা যাবে না। অন্যদিকে দার্জিলিঙে পুরভোটের প্রচার। মোর্চার বিরুদ্ধে লড়ে খারাপ ফল হলে তাতেও বিপত্তি। সে কারণে আপাতত কলকাতায় বেশি সময় নষ্ট করতে পারবেন না বলে ঘনিষ্ঠদের জানিয়ে দিয়েছিলেন গৌতমবাবু। তারপরেই টিকিট কাটা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement