Durga

সকালে হাতে র‍্যাকেট, সন্ধ্যা নামলেই ঠাকুর গড়তে রং-তুলি ধরেন শিলিগুড়ির সেই সৌরভই

সকালে র‍্যাকেট হাতে নিয়ে কচিকাঁচাদের ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ দেন। আবার সন্ধে নামলেই মাটি, রং এবং তুলি হাতে ঠাকুর গড়েন শিলিগুড়ির সৌরভ পাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:০৬
Share:

প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সৌরভ। —নিজস্ব চিত্র।

সকালে র‍্যাকেট হাতে নিয়ে কচিকাঁচাদের ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ দেন। আবার সন্ধে নামলেই মাটি, রং এবং তুলি হাতে ঠাকুর গড়েন শিলিগুড়ির সৌরভ পাল। রোজকার এই ‘দ্বৈত’ জীবনে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে রয়েছেন সৌরভ।

Advertisement

সৌরভের বাবা সুদেব পাল পেশায় মৃৎশিল্পী। শিলিগুড়ির মহানন্দাপাড়ায় কারখানা রয়েছে তাঁদের। সৌরভের বাবা সুদেব এবং মা পুষ্পা চাননি, ছেলে সৌরভ মৃৎশিল্পী হয়ে উঠুক। তাই ছোটবেলা থেকেই তাঁরা ছেলেকে এগিয়ে দিয়েছিলেন পড়াশোনা এবং খেলাধুলোর দিকে। ব্যাডমিন্টনের প্রতি বরাবরই ঝোঁক ছিল তাঁর। খেলার প্রতি ছেলের ঝোঁক দেখে তাকে শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করে দিয়েছিলেন সুদেব। সেখানে প্রশিক্ষিত হয়ে নানা স্তরে খেলা শুরু করেন সৌরভ। এর পর বেঙ্গালুরু থেকে ব্যাডমিন্টনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। শিলিগুড়ির একটি স্কুলে প্রশিক্ষক হিসেবেও নিযুক্ত হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘মাটির টান’ ছাড়তে পারেননি সৌরভ। পুজো এলেই বাবার সঙ্গে প্রতিমা তৈরিতে মেতে ওঠেন তিনি।

মৃৎশিল্পী হিসাবেও সুনাম অর্জন করেছেন সৌরভ। শিলিগুড়ির একাধিক ক্লাবের প্রতিমা তৈরি করেন তিনি। সৌরভের কথায়, ‘‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই মূর্তিতেও নানা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন আঙ্গিকে দেখার চেষ্টা করছি এই কাজটাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন কাজের ধারণা পাই। তা বাস্তবে করার চেষ্টা করি। এখন অনেক অভিভাবক পরামর্শ দেন, এই কাজ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। কিন্তু আমার পক্ষে এখন তা আর সম্ভব নয়। ব্যাডমিন্টন যেমন আমার ভাললাগা, তেমনি মূর্তি নির্মাণও আমার ভালবাসা।’’

Advertisement

সুদেবের বক্তব্য, ‘‘আমরা চাইনি ও এই পেশায় আসুক। কিন্তু ও ধরে রাখতে চায় এই শিল্পটাকে। আমাদের থেকে ওর কাজের ধরন অনেকটাই আলাদা। ওর কাজে নতুনত্বের ছাপ থাকে। এক দিকে যেমন ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষকের কাজ দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছে, আবার পুজোর সময় কারখানায় সারা রাত ধরে কাজ করছে। হয়ত সৌরভ আমাদের আগামী প্রজন্মকে নতুন দিশা দেখাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement