নিজস্ব চিত্র
জিটিএ নয়, নতুন করে সংগঠন বাড়িয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতেই মাঠে নামছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার সভা থেকে সেই দিকনির্দেশই স্পষ্ট করে দিলেন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং। তিনি বললেন, ‘‘জিটিএ-এর গদি বাঁচানো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা সভা করছি আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য।’’ পাশাপাশি রবিবার স্পষ্ট করে মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়, পাহাড় ও সমতলে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন তাঁরা। একাধিক আসনে তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়ে তাঁরা মাঠে নামতে চলেছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি বিমল গুরুং কালিংম্পয়ে সভা করবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও, ঘটনার পর মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজেশ লাকড়া পাল্টা জানিয়েছেন, যদি বিমল গুরুংরা সমতলে প্রচার করতে আসেন, তা হলে আগুন জ্বলবে।
কার্শিয়াং ডিভিশনে মোর্চার যে সমর্থকেরা দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে ঘরছাড়া বলে দাবি, তাঁদের ঘরে ফেরাতে এক সভার আয়োজন করেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরিরা। সিতং-এ সেই সভায় অংশগ্রহণ করেন রোশন গিরিও।
বিমলপন্থী মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি শনিবার অনীত থাপার পদযাত্রায় অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা জিটিএ-র গদি বাঁচানোর জন্য পদযাত্রা করছে, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। যাঁরা পাহাড়ে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন, সভাপতির নেতৃত্বে তাঁদের আজ ঘরে ফেরানো হচ্ছে। ২০১৭ সালে যে আন্দোলন পাহাড় জুড়ে শুরু হয়েছিল, সে আন্দোলনকে অনীত থাপা আর বিনয় তামাং বিক্রি করে দিয়েছিলেন। আমারও বিজেপির উপর ভরসা করেছিলাম, কিন্তু বিজেপি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বিজেপির চাল বুঝতে পেরে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছি।’’
আরও পড়ুন:চিতাবাঘের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য মালবাজারের চা বাগানে
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের মঞ্চে তৃণমূল নেতা, বিতর্ক