ধূমপান বন্ধে জরিমানা আদায় ৭০ হাজার টাকা

নিষেধাজ্ঞা লাগুর পর ছয় মাসও কাটেনি। জনবহুল এলাকায় ধূমপান বন্ধে অভিযানে নেমে প্রায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হল কোচবিহারে। এই অঙ্কে গোটা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কোচবিহার জেলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০২
Share:

নিষেধাজ্ঞা লাগুর পর ছয় মাসও কাটেনি। জনবহুল এলাকায় ধূমপান বন্ধে অভিযানে নেমে প্রায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হল কোচবিহারে। এই অঙ্কে গোটা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কোচবিহার জেলা। তা-ও আবার শুধু কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকায় চালানো অভিযানের ভিত্তিতেই। এমনই দাবি জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের।

Advertisement

তাতে উৎসাহও বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জেলার সব ক’টি মহকুমাতে অভিযানের পরিকল্পনা হয়েছে। মহকুমা সদর থেকে ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপানের প্রবণতা বন্ধ করতে নানা উদ্যোগ হচ্ছে। কোচবিহারের রাসমেলাতেও বড় অঙ্কের জরিমানা আদায় হয়েছে। এ বার অন্য মহকুমাতেও একইভাবে অভিযানের কথা ভাবা হচ্ছে। সব মেলায় নজরদারি থাকবে।” কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে মহকুমাগুলিতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, জুলাইয়ে কোচবিহারে সিগারেট ও তামাকজাত সামগ্রী প্রতিরোধ আইন লাগু করে জনবহুল এলাকায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়। প্রথম দিনেই জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে দু’শো টাকা করে জরিমানা করা হয়। রাসমেলাতেও বিশেষ অভিযান হয়েছে। মূলত কোচবিহার পুরসভা ও লাগোয়া এলাকাতেও এতদিন জরিমানা করা হয়। দফতরের এক কর্তার দাবি, সম্প্রতি পরিসংখ্যান দেখতে গিয়ে তারা জানতে পারেন প্রায় দেড় বছর আগে ওই নিয়ম লাগু করে হাওড়া জেলা দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছে। তারপরে রয়েছে কোচবিহারের আদায়ের অঙ্ক। মহকুমাগুলিতে ওই ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় শুরু করা হলে ওই অঙ্ক অনেকটা বাড়বে।

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই ব্যাপারে নজরদারির জন্য জেলাস্তরে সমন্বয় কমিটি রয়েছে। তাতে স্বাস্থ্য, পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষা সহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। ব্লকস্তরেও একই রকম কমিটির মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধে জোর দেওয়া হচ্ছে। ওই আইনে হাতেনাতে ধরা হলে দু’শো টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। ধূমপায়ীদের কয়েকজনের বক্তব্য, ‘‘কড়াকড়িতে আপত্তি নেই। কিন্তু স্মোকিং জোন তৈরির কথাও ভাবা দরকার।’’ প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, বিমানবন্দর, নির্দিষ্ট হোটেল ছাড়া ওই জোন তৈরির সুযোগই নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement