— প্রতীকী চিত্র।
কাউকে বাংলাদেশে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কারও আবার ভারতে আসার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু ভিসা ছিল না। এই কারণে, এক নাবালিকা ও দুই বৃদ্ধাকে অনুপ্রবেশের দায়ে পাকড়াও করে উত্তর দিনাজপুরের সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ। কিশোরীর দাবি, পরিবার ইসকন-অনুগামী হওয়ায় তাকে ‘অপহরণের হুমকি’ দেওয়া হয়। সেই ভয়ে ভারতে ঢুকতে গিয়েছিল সে। একই জেলার কালিয়াগঞ্জে বৈধ নথি ছাড়া অনুপ্রবেশে ধৃত দুই বৃদ্ধা। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘হুমকির জেরে’ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের করতোয়া নদী সাঁতরে বুধবার ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন জীবন বর্মণ নামে এক কলেজ-ছাত্র। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মদনবাড়ি পেকরাভিটা বিওপি-র ঘটনা। তাঁকেও গ্রেফতার করে বিএসএফ। ধৃতের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দাবি, ইসকন-ভক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে অপহরণের হুমকি পেয়ে ভয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মঙ্গলবার রাতে এক নাবালিকা ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে, চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে ফতেপুর সীমান্তে। বুধবার তাকে জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী প্রদীপ অধিকারী বলেন, “নাবালিকাকে রায়গঞ্জে হোমে পাঠানো হয়েছে।” মেয়েটি বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের। তার আত্মীয়েরা থাকেন জলপাইগুড়ির বেলাকোবায়। মেয়েটির দাদু বলেন, “ইসকন-ভক্ত হওয়ায় নাতনিকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ভয়ে নাতনি এ দিকে আসার চেষ্টা করেছিল।” ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি টমাস জানান, তদন্ত হচ্ছে।
বুধবার কালিয়াগঞ্জের পৃথক দুই সীমান্ত-এলাকায় দুই বৃদ্ধাকে ধরে বিএসএফ। ধৃতেরা কাঞ্চু বালা, আদো বর্মণ। কাঞ্চু বাংলাদেশের পার্বতীপুরের বাসিন্দা, আদো পিরগঞ্জের। কালিয়াগঞ্জের চাঁদগাঁও এলাকা দিয়ে এ দেশে ঢোকেন সত্তর বছরের কাঞ্চু। কালিয়াগঞ্জের পুরগ্রামে রাস্তার নীচে যে পাইপ রয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় সেই পাইপের মধ্যে ঢুকে বিএসএফের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হননি পঁচাশি বছরের আদো। কাঞ্চুর বক্তব্য, গঙ্গারামপুরে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য ঢুকেছেন। ভিক্ষাবৃত্তি করেন, পাসপোর্ট-ভিসা তৈরির সামর্থ্য নেই। আদোর দাবি, নাতির বিয়েতে যোগ দিতে আসছিলেন। তিনি বলেন, “ভিসা না পাওয়ায় এ ভাবে ঢুকতে হয়েছে।”
বাংলাদেশের রংপুর জেলার ঠাকুরগাঁওয়ের জীবন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁর দাবি, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চেয়ে তিনি আন্দোলন করেছিলেন। এর পরে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়।