‘কন্যাশ্রী’ কাপে খেলার কথা লিখিকা বারোই, ইতিমা রায়, প্রিয়া রায় এবং নিশা মুণ্ডার। —ফাইল চিত্র।
কারও বাবা কৃষিজীবী, কেউ আনাজ ব্যবসায়ী. কেউ ছোট চায়ের দোকান করেন। আবার কারও বাবা নেই, মা চা শ্রমিক। এমনই চারটি পরিবারের চার কন্যার শয়নে-স্বপনে ফুটবল। কলকাতার দীপ্তি সঙ্ঘের হয়ে ‘কন্যাশ্রী’ কাপে খেলার কথা লিখিকা বারোই, ইতিমা রায়, প্রিয়া রায় এবং নিশা মুণ্ডার।
লিখিকা ২০১৮ সাল থেকে ফুটবল খেলছে। খারিজা বেরুবাড়ি হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীর পছন্দের পোজ়িশন লেফট ব্যাক। জলপাইগুড়ি সদর থানার নন্দনপুরের বাসিন্দা লিখিকার বাবা বিকাশ বারোই কৃষিজীবী। দুই ভাইবোনের মধ্যে লিখিকা বড়। মণ্ডলঘাটের সরকারপাড়ার বাসিন্দা পদ্মমোহন রায়ের মেয়ে ইতিমাও ২০১৮ সাল থেকে ফুটবল খেলছেন। পদ্মমোহন আনাজ ব্যবসায়ী। দুই ভাইবোনের মধ্যে ইতিমা ছোট। তিনি হলদিবাড়ি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ইতিমা শুধু ফুটবলারই নন, ১০০, ২০০ মিটার এবং লং জাম্পে তিনি জলপাইগুড়ি জেলা দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন। পদকও পেয়েছেন। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় প্রিয়া রায় ইতিমধ্যে রাজ্য দলের হয়ে খেলেছে। খারিজা বেরুবাড়ি হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়াদের বাড়ি হলদিবাড়ির উত্তরপাড়ায়। তার বাবা একটি ছোট চায়ের দোকান করেন। ২০১৭ সাল থেকে সে ফুটবল খেলছে। তিন বোনের মধ্যে প্রিয়া দ্বিতীয়।
এই তিন কন্যাই ঘুঘুডাঙা স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুশীলনরত। তাদের কোচ পরিমল সরকার বলেন, “সকলেই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। সকলেই জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখে।”
মালবাজার থানার ডামডিম চাবাগানের বাসিন্দা নিশা মুণ্ডার বাবা রাজকুমার মুণ্ডা প্রয়াত। মা সঞ্চারী মুণ্ডা চা শ্রমিক। নিশা চার বছর হল ফুটবল খেলছেন। মালবাজার কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নিশা রাইট হাফে খেলেন। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি ক্লাবের হয়ে গত বছর খেলেছেন। এখন তিনি ওদলাবাড়ির রাইজ়িং ফুটবল অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেন। নিশা বলেন, “কলকাতায় খেলে ভাল কিছু করার অবশ্যই চেষ্টা করব।”
রবিবার এবং সোমবার জলপাইগুড়িতে ট্রায়াল নেওয়ার পরে কলকাতার কোল ইন্ডিয়া এবং দীপ্তি সঙ্ঘের কোচ পার্থ ঘোষ এই চার জনকে বেছে নেন। তিনি বলেন, “জানুয়ারিতে কলকাতায় কন্যাশ্রী কাপ শুরু হবে। সেখানে দীপ্তি সঙ্ঘের হয়ে এঁরা খেলবেন।”