Nabanna

সারা রাজ্যে সরাসরি নজর রাখবে নবান্ন! নীলবাড়ির পাশেই তৈরি হচ্ছে রাজ্য পুলিশের ‘বিশেষ কক্ষ’

২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই ডিজি-র কন্ট্রোল রুমের অন্দরে ওই ‘বিশেষ কক্ষ’ খুলে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য, সারা বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর আরও ভাল করে নজরদারি করা।

Advertisement

পায়েল ঘোষ

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩২
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে ‘মনিটরিং সেল’। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে নয়া ব্যবস্থা করছে নবান্ন। নীলবাড়ির পাশে ডিজি-র কন্ট্রোল রুমে তৈরি হচ্ছে বিশেষ মনিটরিং সেল। রাজ্যের যে কোনও জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাবে ওই ঘর থেকে। পুলিশ এবং নবান্নের একটি সূত্রে খবর, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই ওই ‘বিশেষ কক্ষ’ খুলে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য, সারা বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর আরও ভাল করে নজরদারি চালানো।

Advertisement

রাজ্যের কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা বা গোলমালের ঘটনা ঘটলে তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার উপর ভরসা করে পুলিশ। মূলত জেলা পুলিশ থেকে ‘মনিটরিং’ করা হয়ে থাকে। আবার কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি জেলা পুলিশের কাছ থেকে রাজ্য পুলিশের কর্তারা রিপোর্ট চান, তখনও প্রমাণের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজের উপর জোর দেওয়া হয়। তবে এ বার নবান্ন থেকে সরাসরি নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে নবান্নের অদূরে ডিজি কন্ট্রোল রুমে শুরু হয়েছে ‘মনিটরিং সেল’ তৈরির কাজ। জানা যাচ্ছে, ওয়েবেল-সহ তিনটি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা ‘বিশেষ ঘর’ গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘চুরি-ডাকাতি-সহ যে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। জেলা পুলিশ তার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। যেমন, হাওড়া গ্রামীণে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানকার জেলা পুলিশ তা ‘মনিটর’ করে। তবে এ বার আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে পুরো ব্যবস্থাকে। আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রেখে এটা একটা বড় উদ্যোগ।’’

২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা থাকলেও বেশ কিছু বাধাও আছে। যেমন, অনেক গ্রামীণ এলাকায় এখনও সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করা যায়নি। আবার অনেক রাস্তার সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই কাজ করতে গেলে আগে রাস্তাঘাটে সিসি ক্যামেরা লাগানো কিংবা সারানোর কাজও করে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই পদস্থ কর্তা। নবান্ন সূত্রে খবর, সে সব মাথায় রেখেই কাজে নামা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় সিসি ক্যামেরা খারাপ, কোথায় সিসি ক্যামেরার অভাব, সব কিছুর খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement