প্রতীকী ছবি।
সাইরেন বাজিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটছে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু নাকা তল্লাশির সময় চোখ কপালে উঠল পুলিশের। রোগী নয়, অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতরে থরে থরে সাজানো রয়েছে নামীদামী কোম্পানির মদের কার্টন। শুক্রবার সকালে মালদহের হবিবপুর থানার আইহো স্ট্যান্ড এলাকার থেকে এ ঘটনায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অভিজিৎ হালদার, বাবলু সাহা, সোমনাথ দাসের বাড়ি ইংরেজবাজারের নিউ গয়েশপুরে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। আজ, শনিবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর।
লকডাউনে নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। আর সে জন্যই জেলার অনেক জায়গার মতো হবিবপুরেও নাকা তল্লাশি চলছে। এ দিন সকাল আটটা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্স লেখা ওই গাড়িটিকে পাকুয়া থেকে মালদহের দিকে আসতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় আইহো স্ট্যান্ডে সেটিকে থামায় পুলিশ। সেটি থেকেই উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে মদ। প্রায় ২২ হাজার টাকার মদ উদ্ধার হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে একটি সংস্থার নামও রয়েছে। পাকুয়া থেকে মদ নিয়ে গাড়িটি ইংরেজবাজারের দিকে আসছিল বলে অনুমান পুলিশের।
লকডাউনে বন্ধ মদের দোকানও। কিন্তু তারপরও যে কারবার চলছে, সে অভিযোগ উঠছিলই। বহু বাসিন্দার দাবি, বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির কারবার চলছে। কেউ বাড়ি থেকে মদ বিক্রি করছেন, কেউ ফোনে অর্ডার নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। লকডাউনে মদের দামও বেড়েছে। সূত্রের মতে, দেশি মদও দ্বিগুণ দামে বিকোচ্ছে, শুরু হয়েছে মদের কালোবাজারিও। এক কারবারী জানান, ‘‘একঘেয়েমি কাটাতে অনেকেই মদ খুঁজছেন। এখন তাই চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে।’’
ইংরেজবাজার থানার পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘লকডাউনে একাধিক যুবককে মদ্যপ অবস্থায় বাইকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। দোকান বন্ধ থাকলেও মদ কোথা থেকে ঢুকছে, সেটা নিয়ে তদন্ত চলছিলই। নাকা পয়েন্টে আরও কড়াকড়ি করা হবে।’’