আর্ত: পাড়াহরিপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১৬টি পরিবারের ২৩টি কাঁচাবাড়ি পুড়ে ছাই। নিজস্ব চিত্র
পৃথক তিনটি অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেল ২৫টি কাঁচাবাড়ি। শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুরে ইটাহার ব্লকের মারনাই, গুলন্দর-১ ও গুলন্দর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কচুয়া, গোপিনাথপুর ও পাড়াহরিপুরের ঘটনা। কেউ হতাহত না হলেও ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। রবিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, ত্রিপল, বাসনপত্র, আনাজ, মুদিসামগ্রী, পোশাক, শুকনো খাবার সহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী তুলে দিয়েছেন ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের প্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদের স্থানীয় তৃণমূল সদস্যা বিউটি বেগম ও ব্লক প্রশাসনের তরফেও বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
ইটাহারের জয়েন্ট বিডিও পাটোয়ারি সরেনের বক্তব্য, প্রশাসনের তরফে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়মে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
শনিবার রাতে মারনাই পঞ্চায়েতের কচুয়ার বাসিন্দা পেশায় চাষি মহম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তির কাঁচাবাড়িতে আগুন লাগে। বাতাস বইতে থাকায় মূহূর্তে তাঁর বেড়া ও টিনের তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি পরিবারের লোকেদের নিয়ে তড়িঘড়ি ঘর থেকে বাইরে বার হয়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। ধান, চাল, পোশাক, আসবাব, নগদ টাকা সহ প্রায় এক লক্ষ টাকার সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে। রান্নাঘরের উনুনের আগুন পাশের একটি খড়ের গাদায় ছড়িয়ে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে দমকলের দাবি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্য দিকে, রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ গুলন্দর ২ পঞ্চায়েতের পাড়াহরিপুরের বাসিন্দা নৈসাদ শেখ নামে পেশায় চাষি এক ব্যক্তির বেড়ার তৈরি রান্নাঘরে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে আশপাশের আরও ১৫ জন বাসিন্দার বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ১৬টি পরিবারের ২৩টি কাঁচাবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রতিটি বাড়ি টিন ও বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। রায়গঞ্জ থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সবগুলি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। ১৬টি পরিবারের ধান, চাল, পোশাক, আসবাবপত্র, নগদ টাকা সহ ১০ লক্ষ টাকারও বেশি সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
এর পরে দুপুর ২টো নাগাদ গুলন্দর ১ পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুরের বাসিন্দা পেশায় চাষি আখতার আলির কাঁচাবাড়িতে আগুন লাগে। মূহূর্তের মধ্যে টিন ও বেড়ার তৈরি তাঁর তিনটি কাঁচাবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। ওই অগ্নিকাণ্ডে ধান, চাল, পোশাক, আসবাব, নগদ-সহ লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী পুড়েছে।
তৃণমূলের জেলাপরিষদ সদস্যা বিউটি বেগমের দাবি, পাড়াহরিপুর ও গোপীনাথপুরের ১৭টি পরিবারের সদস্য চাষবাস ও দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁরা যাতে দ্রুত সরকারি ক্ষতিপূরণ পান, সেই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।