arrest

রক্ত বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার ২

ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো একাধিক অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এ দিন ধৃতদের রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ২২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রক্ত বিক্রি করার অভিযোগে দুই যুবককে ‘মারধর’ করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন উত্তেজিত জনতা। সোমবার বিকেলে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্কে ওই ঘটনা ঘটেছে। রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানা এলাকার এক তরুণী রমা দাস নামে এক রোগিণীর আত্মীয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকালে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম হায়দার আলি ও রাসেদুল আহমেদ ওরফে বাবলু আলি। তাঁদের বাড়ি রায়গঞ্জ থানার চেরামাটি এলাকায়। হায়দার রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ‘সিসিইউ’-এর অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী। রাসেদুল মেডিক্যাল সংলগ্ন একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ‘লন্ড্রি’ বিভাগে কর্মরত। এ দিন হায়দার ও রাসেদুল দাবি করেন, তাঁদের বিনা দোষে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা কারও কাছে রক্ত বিক্রি করে টাকা নেননি। তবে মেডিক্যালের সহকারী সুপার অভীক মাইতি বলেন, ‘‘হায়দারকে মেডিক্যালের কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।’’

Advertisement

ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো একাধিক অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এ দিন ধৃতদের রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার জানিয়েছেন, বিচারক প্রসূন ঘোষ ধৃতদের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরে রমার বৌদি প্রতিমা রায় অসুস্থ অবস্থায় মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার চিকিৎসক প্রতিমাকে এক ইউনিট ‘ও পজ়িটিভ’ রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। রমার অভিযোগ, “ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত ছিল না। হায়দার ও বাবলু এক ইউনিট রক্তের জন্য আমার কাছ থেকে ৩,৫০০ টাকা দাবি করেন। আমি বাবলুর হাতে টাকা দিই। তার পর হায়দার রক্ত দেন।”

Advertisement

অভিযোগ পেয়ে, ওই দিন দুপুরে ব্লাড ব্যাঙ্কে ভিড় করেন রোগীদের পরিবারের লোকেদের একাংশ। এর পরে রক্ত বিক্রির অভিযোগে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের ‘মারধর’ করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ দু’জনকে আটক করে থানয় নিয়ে যায়। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “রক্ত বিক্রির অভিযোগে সাধারণ মানুষ অভিযুক্তদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। চাপে পড়ে, অভিযুক্তেরা ওই রোগিণীর পরিবারকে টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement