প্রতীকী ছবি
ফের করোনা আক্রান্ত হলেন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের এক জন মেডিসিন এবং আর এক জন সার্জারি বিভাগের। তাঁদের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসক কমে যাওয়ায় হাসপাতালের পরিষেবা চালাতে সমস্যার আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাতেই সার্জারির চিকিৎসকের রিপোর্ট পজ়িটিভ জানার পরে ওই রাতেই তাঁকে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আর একজনকে ভর্তি করানো হয় বুধবার রিপোর্ট মেলার পরে। হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখন মেডিসিন বিভাগে আর তিনজন চিকিৎসক, সার্জারিতে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ, ২৪ ঘণ্টা অন কল ডিউটি, নাইট ডিউটি, সিসিইউ, অবজারভেশন সবই করতে হয়। সার্জারির ওই চিকিৎসক লালা সংগ্রহের কিয়স্কে বসতেন। যাতে ভাল পরিষেবা দেওয়া যায় সে জন্য ওই চিকিৎসকই লালা সংগ্রহ করতেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওই কাজেও এখন সমস্যায় পড়তে হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশ জানান। এ দিন থেকে ইএনটি’র এক চিকিৎসক লালা সংগ্রহের পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। প্রতিদিন একশোর কাছাকাছি লালারসের নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘চিকিৎসকরা আক্রান্ত হওয়ায় পরিষেবার কাজে সমস্যা তো হবেই। যে চিকিৎসকরা থাকবেন তাঁদের বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে। বিষয়টি দেখছি।’’ দিন কয়েক আগে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর সংস্পর্শে আসা নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কয়েকজনকে কোয়রান্টিনে পাঠাতে হয়েছে। এর আগে চারজন নার্স আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও এখন তাঁরা সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে হাসপাতালে বাড়তি চিকিৎসক দেওয়ার বিষয়টি এখনই ভাবা দরকার বলে কর্তৃপক্ষের একাংশ মনে করছেন।
সার্জারির তিন চিকিৎসকের মধ্যে একজনকে লালা সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছিল বলে সার্জারির বহির্বিভাগ সপ্তাহে চার দিনের বেশি খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পরিষেবা যাতে ব্যহত না হয় তা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই সময় মেডিসিন বিভাগের উপর চাপ এমনিতেই বেশি। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিভার ক্লিনিকে সব ডাক্তারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কাজের পর হোম কোয়রান্টিনে থাকতে
বলা হচ্ছে কয়েকদিন। প্রতিদিন ওই ক্লিনিকে অন্তত ২৫০ রোগী হচ্ছে। এমনিতেই এ সময় জ্বর, পেটের অসুখ বেড়ে যায়। মেডিসিন বিভাগের উপর চাপ থাকে।