প্রতীকী ছবি।
নিয়োগপত্র নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে হাজির দুই চাকরিপ্রার্থী, সঙ্গে ছিলেন আর এক জন। সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই, তাঁরা ‘গ্রুপ সি’ পদে নিয়োগের জন্য আসায় সন্দেহ হয় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। পুলিশে অভিযোগ করা হলে সোমবার রাতেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই তৃতীয় ব্যক্তি হবিবপুরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়। লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ওই দুই চাকরিপ্রার্থীকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয় ধৃত যুবক, দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার ধৃত প্রকাশ সাহাকে মালদহ জেলা আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মালদহ মেডিক্যালের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলা জুড়ে হইচই পড়েছে। সম্প্রতি মেডিক্যালের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ সামনে আসে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। এ বার ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে মেডিক্যালে চাকরিতে যোগ দিতে আসার ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছে।
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার দুপুরে ‘গ্রুপ সি’ পদের নিয়োগপত্র-সহ দুই যুবক-যুবতীকে নিয়ে মেডিক্যালে আসেন প্রকাশ। নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। নিয়োগপত্রে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও ঠিকানা বা কোন পদে নিয়োগ হচ্ছে, সে তথ্য ছিল না। এ ছাড়া, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নিয়োগের কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়নি। এ দিকে এ দিনই দুপুরে মেডিক্যালে নিজের রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য যান জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। তাঁর নজরে তখনই ওই ঘটনাটি আনেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন প্রদীপ। মেডিক্যালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা বলেন, “দুই চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগপত্র দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়।”
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পরেই পুলিশ তৎপর হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বাসিন্দা দুই যুবক-যুবতীকে আটক করা হলে হবিবপুরের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা প্রকাশ সাহার নাম উঠে আসে। প্রকাশ চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগপত্র দেন বলে তাঁরা দাবি করেন। এ ছাড়া, প্রকাশের কথাতেও অসঙ্গতি রয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “মেডিক্যালের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে ধৃতকে আদালতের মাধ্যমে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আরও কেউ এ চক্রে জড়িত রয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে।”