গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
বিবাহিত মেয়েকে বিক্রি করে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। যেতে না চাওয়ায় মা বন্দি করে রেখেছিল মেয়েকে। ঘরবন্দি অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে রবিবার আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবতী। ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সোমবার ওই যুবতীর মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার চাঁচোল থানার বুজরুক শীতলপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম শিবানী দাস (১৯)। তাঁর মায়ের নাম লক্ষ্মী দাস। সে দিল্লিতে কাজ করে। মৃতের আত্মীয় রাজু দাস জানিয়েছেন, লক্ষ্মী দাসের দুই মেয়ে। দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। শিবানী ছিল ছোট মেয়ে। ৩ মাস আগে পাশের গ্রামের বাসিন্দা মহাবীর দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এলাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ, লক্ষ্মী দাস দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেহ ব্যবসা করানোর জন্য মেয়েদের নিয়ে যায় দিল্লিতে।
সম্প্রতি লক্ষ্মী দাস দিল্লি থেকে চাঁচোলের বাড়িতে ফিরেছে। সে জন্য শনিবার সকালে শিবানী মায়ের বাড়িতে আসেন। এ দিন লক্ষ্মী শিবা্নীকে দেহ ব্যবসার জন্য জোর করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তা বুঝতে পেরে মেয়ে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে। তখন জোর করে তাঁকে মারধর করে ঘরের মধ্যে ঢুকে তালা দিয়ে দেয় লক্ষ্মী। রবিবার নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন শিবানী।
সোমবার এই আত্মহত্যার বিষয়টি সামনে আসে। তার পর গ্রামবাসীরা লক্ষ্মীর হাত-পা বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। শিবানীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনারও তদন্তও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুধের সরে মনীষীদের ছবি, বালুরঘাটের জাহ্নবী পেল বড় স্বীকৃতি